Vijay Diwas: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে চলমান হিংসার আবহে রবিবার ভারতে পৌঁছেছে বাংলাদেশের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। রবিবার সন্ধ্যায় তারা কলকাতায় এসে পৌঁছান। ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতেই তারা কলকাতায় আসেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ঐতিহ্য অনুসারে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল আজকের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে চলমান অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মধ্যে ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছেছে। প্রতিনিধি দল সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস উদযাপনে যোগ দেবেন।
প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইস্টার্ন আর্মি কমান্ড, যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই এই প্রথা চলছে।
এ বছর বিজয় দিবসে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে মাত্র নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় এসেছেন। আগে এই সংখ্যা ছিল ৭০ থেকে ৭২। বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আনিনুর রহমান। কলকাতায় পৌঁছালে ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলের সাথে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীণ আধিকারিকরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
ইস্টার্ন কমান্ড এক্স হ্যান্ডেলে ছবি শেয়ার করে জানিয়েছে, "নয় সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে পেরে গর্বিত"
১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়কে স্মরণ করার জন্য ইস্টার্ন আর্মি কমান্ড প্রতি বছর বিজয় দিবসের আয়োজন করে। আজকের এই দিনটি কলকাতায় অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সেনা ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধের পর বাংলাদেশ একটি নতুন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতি বছর ভারতীয় সেনাবাহিনী এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের গুরুত্ব
প্রতি বছরই কলকাতা এবং ঢাকায় বিজয় উৎসব উদযাপনে অংশ নেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তবে চলতি বছরের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। ভারতের বিদেশ সচিবের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারই প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছে।