ব্রিগেডে ভিড় করার মতো ক্ষমতা নেই জেনেও একক শক্তিতে সমাবেশ করল এসইউসিআই। ৩৫ বছর পর ব্রিগেডে সমাবেশ করে বার্তাও দিল এই কমিউনিস্ট পার্টি। তুলোধোনা করল বঙ্গের অন্য বাম দলগুলোকে। তবে তাঁদের সমাবেশকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একসময় যে তৃণমূলের বন্ধু দল ছিল এসইউসিআই, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছে সিপিএম ও বিজেপি।
একটা সময়ে এসইউসিআইয়ের দু'জন বিধায়ক ছিল এরাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ২০০৯-এ একজন সাংসদও পায় এই কমিউনিস্ট দলটি। তবে ২০১১-এর পর সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে তৃণমূলের সঙ্গে। এখন আবার একাকী লড়াই জারি রেখেছে এসইউসিআই। তাঁদের এখন কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নেই এরাজ্যে। তবে এবার শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একক শক্তিতে সমাবেশ করায় এই উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরের। ইন্ডিয়া জোট নিয়েও যখন এসইউসিআই নেতৃত্ব সমালোচনা করছে তখনও তৃণমূল তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছে, এর পিছনে কৌশল দেখছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট গঠন করলেও এরাজ্যে কংগ্রেস ও বামেরা জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এখনও পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি রয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এসইউসিআইয়ের যদি সামান্য শক্তিও বৃদ্ধি পায় তাহলে আদতে ফায়দা তৃণমূল কংগ্রেসেরই। সম্ভবত সেই কারণেই এসইউসির সমাবেশে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। আবার এই সমাবেশে সিপিএমের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর তোপ দেগেছে নেতৃত্ব। অন্য বাম দলগুলোরও সমালোচনা করেছে তাঁরা।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২০২৪, বিজেপি-তৃণমূলকে ‘ল্যাজেগোবরে’ করতে মাঠে নামছে এসএফআই
ব্রিগেড সমাবেশের জন্য সরকারি জায়গা পেতেও কোনও অসুবিধা হয়নি এসইউসিআইয়ের। স্বাভাবিক নিয়মে এগুলি পাওয়া গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সমাবেশ আয়োজনকে যখন প্রকাশ্যে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল, সেখানে সরকারি জায়গা পেতে অসুবিধা হওয়ার কথাও নয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদ্দা কথা যখন বাম দলগুলোকে নিশানা করা হয়েছে এসইউসিআইয়ের ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে তখন তৃণমূল কংগ্রেস মজা পাবে এটাও খুব স্বাভাবিক।