ঝালদা পুরসভা দখল নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। মাত্র ১২ আসনের এই পুরসভা দখল নিতে কেন মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস? তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই রাজ্য-রাজনীতিতে। শুধুই কি ক্ষমতা দখল? নাকি পুরসভা পরিচালনার অন্য কোনও ইস্যু রয়েছে? তবে আদালতের নির্দেশে আপাতত ঝালদা পুরসভার ক্ষমতায় কংগ্রেস।
২০২২ পুরসভা নির্বাচনের পর নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা দখল করেছিল সিপিএম। ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হওয়ার পর দুজন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে পুরুলিয়ার এই ছোট্ট পুরসভা দখল নেয় ঘাসফুল শিবির। দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে নয়া হামরো পার্টি ক্ষমতা দখল করে হইচই ফেলে দেয়। পরবর্তী হামরো পার্টিও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এখন সেখানেও তৃণমূলের সমর্থনে অনীত থাপার দল দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতায় রয়েছে। নানা টানাপোড়েনের পর এখন ঝালদা পুরসভায় চেয়ারপার্সন হয়েছেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।
গত ১৬ জানুয়ারি তৃণমূল কাউন্সিলরদের সমর্থনে চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯ জানুয়ারি প্রশাসনিক নির্দেশে তাঁকে সরিয়ে চেয়ারম্যান হন তৃণমূলের সুদীপ কর্মকার। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চেয়ারপার্সন হলেন পূর্ণিমা কান্দু। কিন্তু একটা পুরসভার ক্ষমতা দখল নিয়ে মরিয়া কেন তৃণমূল কংগ্রেস? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন- উধাও অজিত মাইতি, হিরনের নতুন ছবি নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়
দার্জিলিং পুরসভা নিজেরা চালিত না করলেও সহযোগী দল চালনা করছে। ঝালদা পুরসভায় ৫টি করে আসন পেয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। দুটি আসন গিয়েছে নির্দলের ঝুলিতে। যার সমর্থনে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল তৃণমূল, সেই কাউন্সিলর সরে যাওয়ার পরও পদত্যাগ করতে দেখা যায়নি তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে। এর আগে ২০১৫ পুর নির্বাচনে এখানে কোনও আসনেই জয় পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ৭টি আসনে জয় পায় কংগ্রেস, ৩টে পায় বামেরা, ও দুটি আসন নির্দল জয় পায়। ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ক্ষমতার পাশা বদলে যায়। তৃণমূল ক্ষমতা পায়।
আরও পড়ুন- অভিষেকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা পাকা হিরণের? ঠিক কী বলতে চাইলেন মদন?
রাজনৈতিক মহলের মতে, পুর নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে ভোট লুঠ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাসফুল শিবির। তাহেরপুর ছাড়া রাজ্যের কোনও পুরসভাই দখল করতে পারেনি বিরোধীরা। কিন্তু ঝালদা পুরসভায় একচ্ছত্র ক্ষমতা পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি কংগ্রেস ঝালদা পুরসভা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছে। দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কংগ্রেস।