/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/cats-2025-08-13-13-33-30.jpg)
এই জেলাগুলিতে, স্বাধীনতা দিবস ১৫ই আগস্ট নয়, দুই দিন পরে পালিত হয়, কেন জানেন?
Independence Day 2025: প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস উৎসাহ ও গর্বের সঙ্গে পালিত হয়। এবার দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি ভারতের ইতিহাসের একটি সোনালী মুহূর্তের প্রতীক। যা আমাদের স্বাধীনতার মূল্য এবং গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়, কিন্তু ভারতের দুটি জেলা রয়েছে যেখানে স্বাধীনতা দিবস ১৫ই আগস্ট নয় বরং দুই দিন পরে অর্থাৎ ১৮ই আগস্ট পালিত হয়। কেন এমন বিচিত্র নিয়ম? এর পিছনের কারণ কী, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
স্বাধীনতার জন্য কেন ১৫ অগাস্টকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল? ৯৫ শতাংশ মানুষের কাছে আজও উত্তর অজানা
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ দাসত্ব থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কিন্তু এই স্বাধীনতা সমগ্র ভারতের জন্য অভিন্ন ছিল না। এইসময় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চল ভারতের অংশ ছিল না। এর মধ্যে মালদা এবং নদীয়াও ছিল। সেই সময় এই অঞ্চলগুলিকে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। যার কারণে ১৫ আগস্ট এখানে স্বাধীনতা উদযাপন করা হয়নি। এই অঞ্চলগুলিকে সম্পূর্ণরূপে ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে তিন দিন সময় লেগেছিল, এরপর ১৮ আগস্ট মাউন্টব্যাটেন দেশভাগের মানচিত্র সংশোধন করেন। তারপর থেকে এখানকার মানুষজন ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা পেলে, উদযাপনের পরিবর্তে এখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এখানকার মানুষ পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করেন।
দেশের এই দুই প্রধানমন্ত্রী যাঁরা কখনও লাল কেল্লা থেকে তেরঙ্গা উত্তোলন করেননি, কারণ জানলে অবাক হবেন
এই পরিস্থিতি সংশোধনের জন্য, পণ্ডিত শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, এবং নদীয়ার রাজপরিবারের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্রিটিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল এই অঞ্চলগুলিকে ভারতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এই বিষয়টি তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছে পৌঁছায় এবং তিনি দেশভাগের মানচিত্রে সংশোধনের নির্দেশ দেন। ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট রাতে, এই সংশোধন সম্পন্ন হয় এবং এই অঞ্চলগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ ঘোষণা করা হয়। এই কারণে, নদীয়া এবং মালদায় ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বনগাঁ, বালুরঘাট, মালদা, রানাঘাটে ১৮ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।
স্বাধীনতার পরেই উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বৃহত্তর ভাবনা, ফিরে দেখা IIT-র 'গর্বের যাত্রা'!
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লির লাল কেল্লায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন এবং তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। এই দিনটি ছিল ভারতের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা। স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কেবল স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই দিনটি আমাদের ঐক্য, জাতীয় গর্ব এবং দেশের প্রতি কর্তব্যবোধকে শক্তিশালী করে। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এই দিনে স্কুল, কলেজ এবং সরকারি অফিসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজ এবং দেশাত্মবোধক গানের আয়োজন করা হয়। এই দিনটি আমাদের গণতন্ত্র, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে।