/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/iit-2025-08-13-11-46-26.jpg)
IIT: ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি।
Indian Institute of Technology:ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পরপরই দেশের উচ্চশিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃহত্তর ভাবনা আসে সেই সময়ের প্রশাসকদের মনে। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা IIT-র ধারণা।
দেশে আইআইটি-র পথচলা শুরু হয় ১৯৫১ সালে। ভারতবর্ষের প্রথম আইআইটি প্রতিষ্ঠিত হয় এই বাংলার মাটিতেই। দেশের প্রথম উচ্চশিক্ষার পীঠস্থান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আইআইটি খড়গপুর।
জানা যায়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই IIT গড়ে তোলার পিছনে গোটা পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল স্যার আরনেস্ট সাইমন এবং নলিনীরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বিশেষ এই কমিটি সেই সময়ের ব্রিটেন এবং আমেরিকার প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ধাঁচে ভারতের বুকে একাধিক উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে নজিরবিহীন তৎপরতা নিয়েছিল।
১৯৫১ সালের ১৮ আগস্ট আইআইটি খড়্গপুরের প্রথম ব্যাচের পড়ুয়ারা ভর্তি হন। মাত্র ৪২৪ জন ছাত্র এবং ৪২ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয় আইআইটি খড়্গপুরের পথ চলা। অল্প দিনের মধ্যেই আইআইটি খড়গপুর দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেন এক নয়া যুগের সূচনা করেছিল।
খড়গপুর IIT-র সাফল্যের পর একাধিক রাজ্যে একে একে তৈরি হতে শুরু করে আরও বেশ কিছু আইআইটি। ১৯৫৮ সালে মহারাষ্ট্রে তৈরি হয় আইআইটি বম্বে। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫৯ সালে পথ চলা শুরু হয় আইআইটি মাদ্রাজের। তার ঠিক দু'বছরের মাথায় তৈরি হয় আইআইটি দিল্লি।
আরও পড়ুন-fake Aadhaar:সূত্রের খবরে অতর্কিতে হানা! জাল আধার কার্ড চক্রের বড়সড় দুই পাণ্ডা গ্রেফতার
এভাবে ধাপে ধাপে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে আইআইটি। ভারতবর্ষে এখন মোট ২৩টি IIT চালু রয়েছে। দশকের পর দশক ধরে সেই সব উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে বেরিয়ে আসছেন এক একজন 'রত্ন'। গত কয়েক দশকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা এসব IIT গুলি থেকে উত্তীর্ণ এমনই কিছু 'রত্ন' গোটা বিশ্বে ভারতের মুখ উজ্বল করে চলেছেন।
ভারতবর্ষের এই IIT গুলি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে বিবেচিত হয়। ভারতের প্রযুক্তিগত শিক্ষায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে এই IIT। স্বাধীনতার পর থেকে টানা গত কয়েক দশক ধরে দেশের বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়ে চলেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।