teacher sexually assaults student: গত বছরের জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মুম্বই পুলিশ গত সপ্তাহে শহরের একটি নামী স্কুলের ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে। ওই শিক্ষিকার এক বন্ধু, যিনি তাকে সাহায্য করেছিলেন বলে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরের বাবা-মা যখন তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং তাকে মুখ খুলতে সাহস জোগান। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কিশোরটি তার নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ওই স্কুলে ইংরেজি পড়ায়। সে বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্কুলের বার্ষিক দিবসের অনুশীলনের সময় মহিলাটি ছেলেটিকে লক্ষ্য করার পর তার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এরপর তিনি তার পক্ষ থেকে ছেলেটির সাথে যোগাযোগকারী এক বন্ধুর সাহায্য নেন এবং তাকে বোঝান যে কিশোর ছেলেদের বয়স্ক মহিলাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার বিষয়টি কিছুমাত্র অস্বাভাবিক নয়।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: 'এই হিংসা শুধু তৃণমূলের জল্লাদরাই করতে পারে', তামান্না খুনে অধীরের নিশানায় শাসকদল
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ছেলেটিকে শিক্ষকের সাথে দেখা করতে রাজি করানো হয়েছিল। ওই শিক্ষিকা তাকে তার গাড়িতে করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। এই ঘটনায় ছেলেটি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই সঙ্গে তার স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। ওই মহিলা দক্ষিণ মুম্বই এবং পশ্চিম শহরতলির পাঁচতারা হোটেলে পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল ওই ছেলেটিকে। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতনের আগে মদ্যপান করানোর অভিযোগ ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: 'এই হিংসা শুধু তৃণমূলের জল্লাদরাই করতে পারে', তামান্না খুনে অধীরের নিশানায় শাসকদল
প্রথমে ছেলেটি তার বাবা-মায়ের কাছে বিষয়টি প্রকাশ করার পর, তারা কোনও বড় পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ বোর্ড পরীক্ষার পর সে স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্কুল ছেড়ে যাওয়ার পর ছেলেটি হতাশায় ডুবে যায়। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকা আবারও ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন- weekend trip: বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সমুদ্র পাড়ের অনিন্দ্যসুন্দর রূপ লজ্জায় ফেলে সুন্দরী রমণীদেরও
সেটা টের পেয়ে এরপর ছেলেটির অভিভাবকরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইন এবং কিশোর বিচার আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মহিলা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে এবং তাকে গ্রেফতার করে।