খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বেশ অনেকদিন ধরেই। হঠাৎ করেই পুকুরে ভেসে উঠল রায়গঞ্জ পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার দেহ। বছর পঞ্চান্নর কল্পনা দে সরকার রায়ের এমন মৃত্যু ঘিরেই দানা বেঁধেছে হাজারো প্রশ্নের। তবে স্থানীয় মানুষের এবং পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কল্পনারদেবীর মৃত্যুর পিছনে জড়িত তাঁর দুই মেয়েরাই।
ঠিক কী অভিযোগ?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার পাতিপুকুর এলাকার গোয়ালপাড়ায়। সেখানকারই একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন কল্পনা দে সরকার রায়। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ স্থানীয়দের থেকে জানতে পারে বহু বছর ধরেই নিজের মাকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করত কল্পনাদেবীর দুই মেয়ে। পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্ত দুই মেয়েকে গণপ্রহার দেয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাঁদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: খুনের রহস্য উন্মোচনে ফরেন্সিক দল
এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, "কল্পনা দে সরকার রায়ের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।" পুলিশ সূত্রে খবর, অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন কল্পনা দে। কিন্তু মায়ের নিখোঁজের পরও কেন পুলিশকে জানালেন না তাঁর দুই মেয়ে? পুলিশ জানায়, "মহিলার দুই মেয়েরা জানায় যে তাঁরা ভেবেছিলেন তাঁদের মা কাকার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁরা পুলিশকে খবর দেয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন দৃষ্টি থেকে এই খুনের তদন্ত করতে।"
আরও পড়ুন- জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: বন্ধুর ‘অভিশপ্ত বাড়ির’ দিকে তাকাচ্ছেন না আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা
অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ। অলিভিয়া পারভীন নামের ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির রান্নাঘর থেকেই। এই খুনের নেপথ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ এও জানতে পারে, অলিভিয়ার স্বামী মহম্মদ হানিফ দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে উদ্যোগী হলে বিরোধিতা করে অলিভিয়া। প্রসঙ্গত, অলিভিয়া এবং হানিফের ছোট ছেলেও আছে। তিন মাস আগে বিয়েও করে হানিফ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়, "প্রতিবেশীরাই প্রথম অলিভিয়ার আধপোড়া দেহ দেখতে পায় রান্নাঘরে কাদার মধ্যে। এক আত্মীয়ের থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই তদন্ত শুরু করি আমরা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অলিভিয়ার স্বামী হানিফ।"
Read the full story in English