Yoga guru Padmashree Shivanand Baba passed away: প্রয়াত যোগগুরু পদ্মশ্রী পুরষ্কার প্রাপ্ত বাবা শিবানন্দ। ১২৯বছরে নিভল জীবন প্রদীপ। শনিবার রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয় যোগ গুরু পদ্মশ্রী বাবা শিবানন্দের। তাঁর মৃত্যুর পর গভীর রাতে মরদেহ বারাণসীর দুর্গাকুণ্ড আশ্রমে আনা হয়। তাঁর শিষ্যরা জানিয়েছেন যে শিবানন্দ বাবার শেষকৃত্য আজ (রবিবার) হরিশ্চন্দ্র ঘাটে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রয়াত যোগ গুরু পদ্মশ্রী বাবা শিবানন্দ। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১২৯ বছর বয়সে বারাণসীর এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বিএইচইউ হাসপাতাল বেশ কিছুদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের মতে, রাত ৮.৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যোগগুরু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে শোকের ছায়া। গভীর রাতে তাঁর দেহ দুর্গাকুণ্ডের আশ্রমে আনা হয়। আশ্রমের শিষ্যরা জানিয়েছেন যে শিবানন্দ বাবার শেষকৃত্য আজ (রবিবার) হরিশ্চন্দ্র ঘাটে অনুষ্ঠিত হবে। যোগগুরু শিবানন্দ বাবাকে ২০২২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।
২০২২ সালের ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে শিবানন্দ বাবাকে পদ্মশ্রী প্রদান করা হয়। এই সময়, ১২৫ বছর বয়সী শিবানন্দ বাবা সাদা ধুতি-কুর্তা পরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদীও চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে শিবানন্দ বাবার উদ্দেশ্যে হাত জোড় করে প্রণাম করেন। এর পর শিবানন্দ বাবা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রণাম করে শুভেচ্ছা জানান। এরপর রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ তাঁকে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে সম্মানিত করেন।
দুর্গাকুণ্ডের কবিরনগরে স্বামী শিবানন্দের একটি আশ্রম রয়েছে। এই বয়সেও তিনি প্রতিদিন যোগব্যায়াম অনুশীলন করতেন বলে জানা গিয়েছে। ১৮৯৬ সালের ৮ আগস্ট বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলার হরিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিবানন্দ বাবার এক শিষ্য জানিয়েছেন, তিনি ফল বা দুধও খেতেন না। তিনি কেবল সেদ্ধ খাবার খেতেন, যাতে লবণের পরিমাণ থাকত নামমাত্র। রাতের খাবারে বার্লি, দই, ছোলা আর সেদ্ধ সবজি।
এদিকে যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মুজুমদার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, গতকাল বেনারসের পবিত্র ধামে পরলোকগমন করলেন যুগপ্রবাহে দীপ্তিমান এক সাধক, স্বামী শিবানন্দ বাবাজী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১২৯ বছর। দীর্ঘজীবন ধরে তিনি মানবসেবায়, যোগচর্চায় এবং আধ্যাত্মিক মার্গনির্দেশনায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। ২০২২ সালে, তদানীন্তন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে বাবাজী পেয়েছিলেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান। তাঁর জীবন ছিল আত্মনিয়ন্ত্রণ, করুণা ও সেবার এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত। তাঁর অনন্ত যাত্রা শান্তিময় হোক। প্রণাম স্বামীজী। সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার সদগতি প্রার্থনা করি"।