Digha 'Jagannath Dham' row : 'মমতা জগন্নাথ ধামের নামে নিমকাঠটাও চুরি করাল', বিতর্কের মাঝেই 'বিস্ফোরক' শুভেন্দু

Digha 'Jagannath Dham' row : অভিযোগ উঠেছে, ২০১৫ সালের নবকলেবর অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত এবং সংরক্ষিত থাকা কিছু নিম কাঠ তাঁরা দিঘা মন্দিরে মূর্তি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে।

Digha 'Jagannath Dham' row : অভিযোগ উঠেছে, ২০১৫ সালের নবকলেবর অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত এবং সংরক্ষিত থাকা কিছু নিম কাঠ তাঁরা দিঘা মন্দিরে মূর্তি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jagannath Dham' row

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দীঘার 'জগন্নাথ ধাম'-এর।

Digha 'Jagannath Dham' row : বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দীঘার 'জগন্নাথ ধাম'-এর। সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে বারে বারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অয়াধিকারী। এবার দীঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পুরীর পবিত্র নিম কাঠ। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে  তদন্তে নেমেছে SJTA। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। 

Advertisment

দীঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরকে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলে উল্লেখ করাকে ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ওড়িশা এবং বাংলার মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের 'জগন্নাথ ধাম' নামে তীব্র আপত্তি তুলেছে ওড়িশা সরকার। এব্যাপারে পুরীর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (SJTA) দীঘা মন্দিরে বিগ্রহ নির্মাণে  ‘নবকলেবর’-এর সময় ব্যবহৃত পুরীর পবিত্র নিম কাঠ আদৌ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তার তদন্ত শুরু করেছে।

বাংলার বুকে বিরাট অ্যাকশন, চলল বুলডোজার, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাবলা খুনে বহিস্কৃত তৃণমূল নেতার কার্যালয়

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওড়িশা সরকার দিঘার মন্দিরের 'ধাম' নামে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি এই নামটি পুরীর মূল মন্দিরের। বিজেপিশাসিত ওড়িশা সরকারের তরফে দিঘার মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতদের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনে অংশগ্রহণের জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হওয়া পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র জানিয়েছেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে দিঘার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

Advertisment

নবকলেবর পবিত্র নিম কাঠ দিয়েই নির্মিত হয়েছে দীঘার জগ্ননাথ মন্দিরের বিগ্রহ! এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দিঘা মন্দিরকে কাঠ দেওয়ার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ ওড়িশা সরকারের। এই ঘটনা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, বললেন ওড়িশার মন্ত্রী। ওড়িশার আইন মন্ত্রী পৃ্থ্বীরাজ হরিচন্দন শুক্রবার শ্রীজগন্নাথ মন্দির প্রশাসনকে (SJTA) নির্দেশ দেন, এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক।

এটা মানাই যায় না', দিঘার মন্দিরে আপত্তি! ওড়িশা সরকারের রোষে পুরীর জগন্নাথ-ধাম কর্তৃপক্ষ

কি অভিযোগ?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কয়েকজন সেবায়েত দীঘায় মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৫ সালের নবকলেবর অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত এবং সংরক্ষিত থাকা কিছু নিম কাঠ তাঁরা দিঘা মন্দিরে মূর্তি নির্মাণের দিয়েছেন। উল্লেখ্য নবকলেবর হল একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা প্রতি ১২ বা ১৯ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার কাঠের মূর্তি বদলানো হয়। সেই কাঠই নাকি এবার দিঘায় পাঠানো হয়েছে। যে কাঠ দিয়েই তৈরি হয়েছে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহ। 

এবিষয়ে এবার বাংলা-ওড়িশার দ্বন্ধ প্রকাশ্যে এসেছে। ওড়িশার আইনমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে লেখেন, “এই ঘটনা ওড়িশার ৪.৫ কোটি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।” পাশাপাশি, ‘দীঘা মন্দির’কে ‘জগন্নাথ ধাম’ নামে উপস্থাপন করায় পুরোহিত, পণ্ডিত ও ভক্তদের বিরোধিতার মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

 চাষীর মেয়ে রাজ্যে প্রথম, তাক লাগানো ফলে জেলার মুখ উজ্জ্বল করে আগামীর বিরাট লক্ষ্যে প্রাণপাত

এই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পূরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র। এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, “আমি কখনও বলিনি যে দীঘায় জগন্নাথ মূর্তি তৈরিতে পুরীর কাঠ ব্যবহার হয়েছে। আমি শুধু বলেছিলাম, পাথরের মূর্তিতে জগন্নাথের পূজা হয় না"। তিনি আরও বলেন, নিয়ম মেনে প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং আমি কেবল তা পর্যবেক্ষণ করেছি।” 

এদিকে পুরীর গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “শাস্ত্রমতে ‘জগন্নাথ ধাম’ শুধুমাত্র পুরীতেই হতে পারে। অন্য কোথাও এই নাম ব্যবহার ধর্মীয় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং আমাদের ঐতিহ্যের পরিপন্থী।” তিনি বলেন, দীঘা মন্দিরকে ‘ধাম’ বলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বালু শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক গজপতি মহারাজকে জগন্নাথ ধামের মর্যাদা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন।

এমন নজির সত্যিই বিরল! হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই মাধ্যমিকে অসামান্য বিজয় হতদরিদ্র দুই কিশোরের

এদিকে জগন্নাথ মূর্তি নির্মাণে যে পবিত্র নিম কাঠের ব্যবহার নিয়ে তদন্তে নেমেছে ওড়িশা সরকার সে নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চার ধামকে পঞ্চম ধাম করা যায়  না। আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি এটা খাতায় কলমে কালচারাল সেন্টার। কাশী ধামও সরকারি টাকার নির্মিত হয়নি। কাশী ধামের গঙ্গার সঙ্গে করিডর ও অন্যান্য পরিকাঠামো পরে ভারত সরাকারের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। মহাকাল মন্দিরও কিন্তু হিন্দুদের দ্বারাই নির্মিত হয়েছিল। কোন জায়গায় সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণ করা যায় না। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিল জগন্নাথ ধামের বদলে মন্দির লেখা হোক। ওড়িশা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তারা তদন্ত কমিটি গড়েছে। তাদের ক্রিমিন্যাল কেস করা উচিত। যে নিম কাঠ তৃণমূল চুরি করিয়েছে,রাজেশ দৈতাপতিকে দিয়ে। আমার মনে হয় রাজেশ দৈতাপতির বিরুদ্ধে ক্রিমিন্যাল অ্যাকশন নেওয়া উচিত। তাকে ওড়িশা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হবে। কারণ ওকে নিমকাঠ চুরি করতে মমতাই বলেছিল। চোর মমতা জগন্নাথ ধামের নামে নিমকাঠটাও চুরি করাল ওড়িশা থেকে এ লজ্জা রাখার জায়গা নেই"। 

CM Mamata banerjee Suvendu Adhikari Digha Jagannath Temple