young woman commits suicide during chandannagar jagadhatri puja: নিজের পোষা কুকুরকে নিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর একটি মণ্ডপে ঢুকেছিলেন এলাকারই এক তরুণী। ষষ্ঠীর দিন রাতে ওই পুজোমণ্ডপে বেশ ভিড় ছিল। ওই রাতে পোষ্যকে নিয়ে মণ্ডপে ঢোকায় কটূক্তি শুনতে হয় ওই তরুণীকে, এমনই অভিযোগ। এমনকী পোষ্যকে নিয়ে ওই তরুণীকে মণ্ডপের বাইরে যেতে বলেছিলেন কয়েকজন। আরও অভিযোগ, ওই তরুণীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওই পুজো কমিটির কয়েকজন। তাতেই অপমানিত হয়ে শেষমেষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন চন্দননগরের ওই তরুণী, এমনই দাবি তাঁর পরিবারের।
ষষ্ঠীর দিন রাতে চন্দননগরের ওই জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপে নিজের পোষা দুই কুকুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন এলাকারই এক তরুণী। পুজো কমিটির কয়েকজন সেই সময় তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন পোষ্যকে নিয়ে তাঁকে মণ্ডপের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। তখনকার মতো বাড়িতে চলে যান তিনি। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কটুক্তির মুখে পড়তে হয়।
শনিবার রাতে ওই তরুণীর বাবা-মা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ফাঁকা বাড়িতে সেই সময়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। অবসাদগ্রস্ত হয়ে ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। চন্দননগর থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
এদিকে, চূড়ান্ত অপ্রীতিকর এই ঘটনায় শোকগ্রস্ত ওই পুজো কমিটির সদস্যরাও। ওই পুজো কমিটির সম্পাদক বলেন, "আমরা খুবই মর্মাহত। ওঁর বাবা যে অভিযোগ করছেন সেটা হয়তো ঘটনার আকস্মিকতায়। পুজো কমিটির সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি যোগ নেই। সেদিনের ঘটনাটা খুব সামান্য বিষয় ছিল। ষষ্ঠীর রাতে খুব ভিড় ছিল। কুকুর নিয়ে মণ্ডপে ঢুকেছিলেন তরুণী। অনেক দর্শনার্থী সরাসরি পুজো কমিটির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তখন তাঁকে অনুরোধ করি যে কুকুর নিয়ে মণ্ডপের বাইরে যান। তবে ব্যক্তিগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছেন তার দায়িত্ব পুজো কমিটির নয়।"