/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/IMG-20190107-WA0001.png)
IAS Officer Nikhil Nirmal Beats Up Youth in Falakata Police Station: সাইবার আইনে গ্রেফতার ফালাকাটার বাসিন্দা বিনোদ সরকারকে জামিন দিলো আদালত। গতকাল রাতে জেলাশাসক নিখিল নির্মল ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণনের হাতে ফালাকাটা থানায় বেধড়ক মারধরের শিকার হন বিনোদ, যে ঘটনার জেরে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে রাজ্য জুড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্ত্রীকে কটূক্তি করেছেন, এই অভিযোগে রবিবার বিকেলের দিকে ফালাকাটার বাসিন্দা বিনোদকে থানার ভেতর বেধড়ক মারধর করেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রী। সন্ধ্যা গড়াতেই এই ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। রাজ্য জুড়ে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। ঘটনার জেরে বাধ্যতামূলক ১০ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয় নির্মলকে।
আরো পড়ুন: ‘আমার জেলায় আমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না’
কটূক্তি করার দায়ে অভিযুক্ত বিনোদকে সাইবার আইনের ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। আজ তাঁকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাবে আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্ত্রী নন্দিনীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে আজ আদালতে তোলা হয় ফালাকাটার বিনোদ সরকারকে, যেখানে জামিন পান তিনি। বিস্তারিত পড়ুন এখানে: https://t.co/om9yzch0Xgpic.twitter.com/T18zw1KhR4
— IE Bangla (@ieBangla) January 7, 2019
আদালত থেকে বেরিয়ে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বিনোদ। এদিন তিনি বলেন, "আমাকে এভাবে থানায় মারধর করা হল। আমি বারবার ক্ষমা চাইছিলাম কিন্তু আমাকে ক্ষমা করা হয় নি। তাই জেলাশাসক যে ভুল করেছেন তার খেসারত তাঁকে দিতে হবে। আমিও জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করবো।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/IMG-20190107-WA0029.jpg)
আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশিষ দত্ত বলেন, "এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। জেলাশাসক কিভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন? একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।"
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য ঘটনা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, "জেলাশাসককে এই জেলায় আর রাখা চলে না। আমরা এই জেলা থেকে তাঁকে তাড়ানোর জন্য আন্দোলন শুরু করবো।"
অন্যদিকে বাম নেতা এবং বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠিতে নির্মলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ, যদিও এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায় নি।
এছাড়াও 'আক্রান্ত আমরা' সংগঠনের দুই আহ্বায়ক অম্বিকেশ মহাপাত্র ও অরুণাভ গাঙ্গুলি আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদবকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেছেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বরখাস্ত করা হোক, যাঁর মধ্যে প্রধান হলেন ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়, যাঁর সামনেই মারধরের ঘটনা ঘটে।