Advertisment

৬ বছরের কন্যাকে শিকলে বাঁধলেন বাবা, খিদের জ্বালায় মৃত্যু শিশুর

মাথায় হালকা খয়েরি রাঙা চুল, মুখে-জামায় ময়লার ছোপ, আর ছোট্ট দুটো হাত বাঁধা শেকলে! সেই দৃশ্য দেখে কঠিন হৃদয়েরও বুক কেঁপে ওঠে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বন্দি শিশুদের জীবন ক্যাম্পে ভাল নেই

বেশ কিছু মাস আগে একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। মাথায় হালকা খয়েরি রাঙা চুল, মুখে-জামায় ময়লার ছোপ, আর ছোট্ট দুটো হাত বাঁধা শেকলে! সেই দৃশ্য দেখে কঠিন হৃদয়েরও বুক কেঁপে ওঠে। কিন্তু সিরিয়ার ক্যাম্পে থাকা সেই বাবার কি সহানুভূতি জাগেনি?

Advertisment

নাহলা আল ওথমান- বাস্তুচ্যুত এক শিশুকন্যা। সিরিয়ার ক্যাম্পে তাঁর বাবা ও ভাইবোনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি। শিশুমন বারবার শিবিরের বাইরে বেরিয়ে আসত। মেয়ের এই আস্পর্ধা সহ্য করতে পারতেন না বাবা। প্রায়শই তাঁকে শেকলে বেঁধে খাঁচায় আটকে রাখতেন।

এই দৃশ্য অবশ্য নজর এড়ায়নি ক্যাম্পের সুরক্ষাকর্মীদের। হিশাম আলী ওমরের কথায়, মেয়েটি যাতে ক্যাম্পের বাইরে না আসে তাই তাঁর বাবা তাঁকে বেঁধে রাখতেন। আমরা অনেকবার বলতাম ওকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।কিন্তু তিনি কথা শুনতেন না। জানা যায়, শাস্তি দিতে মেয়েকে খেতেও দিতেন না বাবা। খিদের জ্বালায় কাঁদতে কাঁদতেই শেষবারের মতো 'চুপ' হয় নাহলা।

আরও পড়ুন, রোগীদের নামে কয়েক কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ! জেলে গেলেন নার্স

যদিও তাঁর মৃত্যুর পরে শেকলে বাঁধা এবং খাঁচার ভিতরের ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভের জের এতটাই যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় নাহলার বাবাকে আটক করার। শিবিরে বাস করা লক্ষ লক্ষ শিশুদের দুর্ভোগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল এই ঘটনা। বাস্তুচ্যুত, ক্ষুধার্ত, অভাবী শৈশব প্রতিদিনের লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়।

শিবিরের কর্মীদের কথায়, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি লোক যুদ্ধের সময় সেখানে পালিয়ে গেছে, এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগ অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করে। সেখানে জীবনের কোনও সুরক্ষা নেই তাঁদের। শিশুরা জানে না সাধারণ জীবনের অর্থ। শিবিরগুলিতে পরিস্থিতি ক্রমশ মারাত্মক হয়ে উঠছে, বিশেষত শিশুদের জন্য। বাড়ছে অপুষ্টি, আত্মহত্যার ঘটনা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Syria
Advertisment