৩১ অগস্টের মধ্যে খালি করতে হবে কাবুল এয়ারপোর্ট। সমস্ত বিদেশি সেনার জন্য ফতোয়া জারি করেছে তালিবান। এদিকে, উদ্ধারকাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তার মধ্যে এই হুমকির জেরে এখন চাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখনও কয়েক হাজার আফগান শরণার্থী এবং বিদেশি নাগরিক কাবুল এয়ারপোর্টের ভিতরে ও বাইরে ভিড় করে আছেন উদ্ধারের আশায়। এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।
আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমেরিকাকে, তারা উদ্ধারকাজের জন্য ৩১ অগস্ট পর্যন্ত মেয়াদের সময়সীমা বাড়াবে কি না। কারণ আফগান শরণার্থী ও দেশের নাগরিক যাঁরা আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন তাঁদের নিরাপদে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। যদিও তালিবানের দাবি, কোনও বিদেশি শক্তি মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি করেনি, এবং করলেও তা মানা হবে না।
এদিকে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও তালিবানের ডেডলাইন নিয়ে আজ, মঙ্গলবার জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হতে চলেছে। সেই বৈঠকেই বিশ্বের সাত মহা শক্তিধর দেশ উদ্ধারকাজের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা করতে পারে। এই বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা এবং জাপানের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
আরও পড়ুন প্রতিরোধ বাহিনীর দখলে থাকা তিন জেলা তালিবানী কব্জায়! আফগান পরিস্থিতি বুঝতে জি-৭ বৈঠক
বৈঠকে আফগানিস্তানে তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে। মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষা, মহিলাদের অধিকার সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাববে জি-৭ দেশগুলি।
অন্যদিকে, তালিবানের ক্ষমতা দখল মানে ফের মাথাচাড়া দিতে পারে আল-কায়দা। ট্রাম্প প্রশাসনের সন্ত্রাস দমন বিষয়ক অধিকর্তা ক্রিস কোস্টার আশঙ্কা, তালিবান শাসন মানেই ফের মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি বাড়বে আল-কায়দার। কুড়ি বছর আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার-পেন্টাগনে হামলা চালানো জঙ্গিগোষ্ঠীর মাথা ওসামা বিন-লাদেনকে শায়েস্তা করতেই আফগানিস্তানে সেনা পাঠায় আমেরিকা। শুরু হয় ইতিহাসের দীর্ঘতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন