সরকারি পরিসংখ্যান যাই বলুক, কোভিডের জেরে বাস্তবে মৃতের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি। সেটা অন্তত তিন গুণ। এমনটাই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা হু। বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে হু-এর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ধারণা, কোভিডের জেরে বিশ্বে অন্তত দেড় কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সরকারি নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোভিডে মৃতের সংখ্যা ৫৪ লক্ষ-র কিছু বেশি। কিন্তু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য মানতে নারাজ। সংস্থার দাবি, বলা হচ্ছে অন্য রোগে। কিন্তু আসলে কোভিডের প্রভাবেও বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে।
এমন বহু মানুষ আচমকা মারা গিয়েছেন, যাঁদের মারা যাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু, দেখা গিয়েছে যে কারও অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছে কোভিডের জন্য। আবার কারও অন্য রোগ ছিল। কোভিড সেই মৃত্যু ত্বরান্বিত করেছে। এমন ব্যক্তির সংখ্যা গোটা বিশ্বেই যথেষ্ট। ওই সব ব্যক্তিদের মৃত্যু অন্য রোগে হলেও, মৃত্যুর আগে বা পরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের করোনা ধরা পড়েছে। আর, তারই প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করছে, কোভিডে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি।
আরও পড়ুন- ভিনধর্মে বিয়ের জেরে দম্পতির ওপর হামলা, তেলেঙ্গানায় নিহত যুবক
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত হু-এর বিশেষ প্যানেল, গত কয়েক মাস ধরে কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে চলেছে। জাতীয় এবং স্থানীয় তথ্য তাঁরা মিলিয়ে দেখছেন। যেখানে এই ব্যাপারে পরিসংখ্যান নিয়ে মতভেদ আছে, তা-ও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। আর, বিশেষজ্ঞরা সেসব দেখেই মনে করছেন, করোনায় বাস্তবে মৃত্যুর সংখ্যাটা অনেক বেশি। সেটা নানা কারণে বিভিন্ন রাষ্ট্র গোপন করে গিয়েছে। আর, তাঁদের পাওয়া তথ্য ধরেই এখন এগিয়ে চলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। করোনার আগে গত এক শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে অন্যান্য মহামারীতে কতজনের মৃত্যু হয়েছিল, তার সঙ্গে করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান তাঁরা তুলনা করে দেখছেন। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু-এ প্রায় ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আবার ১৯৮০ সাল নাগাদ শুরু হওয়া এইচআইভিতে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
Read story in English