আফগানিস্তানে অন্যায়ভাবে অন্তত ৩৯ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী। সেনার অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর স্বীকারোক্তি করলেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ সেনাকর্তা জেনারেল অ্যাঙ্গাস ক্যাম্পবেল। আফগানিস্তানে ৩৯ জন আফগানকে হত্যা করার জন্য মুখ পুড়েছে অজি সেনার। এই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বিভাগ। গত চার বছর ধরে আফগানিস্তানে রয়েছে অজি সেনাবাহিনী। এতদিন পর বিভাগীয় তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল।
অজি ডিফেন্স ফোর্সের ইনস্পেক্টর-জেনারেল গত ২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তদন্ত চালিয়েছে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে অজি ডিফেন্স ফোর্স। তদন্তে উঠে এসেছে।
প্রমাণিত যে ২৫ জন অজি স্পেশ্যাল ফোর্সের জওয়ান যুদ্ধবন্দি, কৃষক এবং সাধারণ মানুষকে হত্যায় জড়িত।
২৩টি এমন ঘটনায় ৩৯ জন অন্তত নিহত হয়েছেন।
২০০৯ সাল থেকে এই অপরাধ শুরু হয়েছে। ২০১২-১৩ সালে হত্যালীলা চরমে পৌঁছায়।
দক্ষতা পরীক্ষা করার নামে বন্দিদের খুন করেছে সেনা।
এমন জঘন্য অপরাধে যুক্ত বেশ কয়েকজন এখনও সেনাবাহিনীতে চাকরি করছে।
১৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করেছে সেনা বিভাগ।
আরও পড়ুন হাফিজ সইদকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড পাক আদালতের
প্রসঙ্গত, সেনা তদন্তের ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সেনার সবচেয়ে দক্ষ ইউনিটকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার সঙ্গে যৌথ মিশনে পাঠানো হয়েছিল ২০০২ সালে। ৯/১১ হামলার পর এই অপারেশন শুরু হয়। এবিসি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগান ফাইলস-এর ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যালীলা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর নিরীহ পুরুষ-মহিলা এমনকী শিশুদেরও খুন করেছে অজি সেনাবাহিনী।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন