হাঁপানি রোগের শিশুদের করোনা ক্ষতি করেছে, জানা গেল গবেষণায়

সংক্রমিত শিশুদের তাদের অসুস্থতার পর ছয় মাস ধরে হাঁপানির অবস্থা খতিয়ে দেখা, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করা, জরুরি পরিস্থিতিতে ইনহেলার দেওয়া, স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সংক্রমিত শিশুদের তাদের অসুস্থতার পর ছয় মাস ধরে হাঁপানির অবস্থা খতিয়ে দেখা, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করা, জরুরি পরিস্থিতিতে ইনহেলার দেওয়া, স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
covid

কোভিডের জেরে হাঁপানি রোগীদের অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরেও ওমিক্রন ঠেকানো যায়নি। এরকম হাজারো বিষয়ই এখন চিন্তা ধরাচ্ছে গবেষকদের। এনিয়ে প্রায় ৬২ হাজার মার্কিন শিশুর ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে। অতিমারির প্রথম বছরে ওই সব শিশুদের ভাইরাসের জন্য আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছিল। যাদের ওপর পরীক্ষা চলেছিল, ওই সব শিশুরাই হাঁপানিতে আক্রান্ত। তার মধ্যে ৭,৭০০ শিশুর করোনা ধরা পড়ে।

Advertisment

সংক্রমিত শিশুদের তাদের অসুস্থতার পর ছয় মাস ধরে হাঁপানির অবস্থা খতিয়ে দেখা, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করা, জরুরি পরিস্থিতিতে ইনহেলার দেওয়া, স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর, যে শিশুদের পরীক্ষার পরও করোনা ধরা পড়েনি, তাদের ইতিহাস, অ্যালার্জি রিপোর্ট, ইমিউনিটি রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, যে শিশুদের করোনা হয়নি, তারা পরবর্তী ছয় মাসে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে উন্নতি করেছে। তাদের করোনা আক্রান্ত শিশুদের চেয়ে হাঁপানির চিকিৎসার জন্য কমবার জরুরি বিভাগে যেতে হয়েছে। কম সংখ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সামগ্রিক ভাবে হাঁপানির চিকিৎসাই কম করাতে হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টির চিলড্রেন হেলথের চিকিত্সক ডা. ক্রিস্টিন চৌ।

আরও পড়ুন- রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের সুরে সুর মেলাক ভারত, চান জার্মান চ্যান্সেলর

অতিমারির প্রথম দিকে চিকিৎসকরা মনে করছিলেন, হাঁপানি রোগীদের করোনা তেমন একটা ক্ষতি করতে পারেনি। বরং, হাঁপানি রোগীদের উন্নতিই ঘটিয়েছে করোনা। বিশেষ করে জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা, যেমন বাড়িতে থাকা এবং মুখোশ পরার কারণে রোগীদের হাঁপানি বাড়েনি। আর, এসবের ওপর ভিত্তি করেই করোনায় হাঁপানি রোগীদের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, সময় যত এগোচ্ছে, ততই গবেষণাও এগোচ্ছে। আর, তাতেই দেখা যাচ্ছে যে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করেছে করোনা। শুধু তাই নয়, গবেষণকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যাঁরা আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে পিফাইজার, বায়োএনটেক বা মর্ডার্নার এমআরএনএ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা গড়ে তুলতে পারেনি।

Advertisment

Read story in English

Omicron covid Infection booster