প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লালফৌজের আগ্রাসন নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে। সংসদের অধিবেশনেও বিরোধীদের চাপে চিনা আগ্রাসন নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে এসবের মধ্যেই মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সংস্থার রিপোর্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর হওয়ার কথা। মার্কিন সংস্থা স্ট্র্যাটফরের দাবি, ২০১৭ সালে ডোকলাম বিবাদের পরপরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে ১৩টি নয়া সামরিক নির্মাণ করেছে চিন। যার মধ্যে তিনটি বায়ুসেনা ঘাঁটি, পাঁচটি স্থায়ী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং পাঁচটি হেলপোর্ট রয়েছে।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, এই হেলিপোর্টগুলির মধ্যে চারটির নির্মাণ শুরু হয়েছে মে মাসে সীমান্ত বিবাদের পর। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ডোকলাম বিবাদের পর চিনের রণনীতি বদলায়। তারপর গত তিন বছরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এয়ার বেস, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং হেলিপোর্ট নির্মাণ প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। সামরিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সিম ট্যাক মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিনের এই নির্মাণকাজ স্থায়ী বন্দোবস্তের আভাস দিচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি সীমান্ত বিবাদের জন্য ছক কষেছে লালফৌজ। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর যেভাবে চিন রণনীতি সাজাচ্ছে তা দেখে একথা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন বিতর্কিত মানচিত্র মুদ্রিত নয়া পাঠ্যবই বিতরণ স্থগিত রাখল নেপাল সরকার
তবে রিপোর্টে এটাও বলা হয়েছে, রাফাল ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় চিনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিবৃদ্ধির বিষয়ে এখনই প্রত্যয়ী হওয়ার সময় হয়নি। তার জন্য একটু সময় লাগবে। বস্তুত, কয়েকটি ক্ষেত্রে চিনের পিছ হটার উদাহরণ দেখা গিয়েছে। চিনের সামরিক নির্মাণকাজের জেরে ভারতও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। যার ফলে চিন পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন