করোনা ভ্য়াকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিধি বাড়াচ্ছে চিন। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষদের দেওয়া হচ্ছে ভ্য়াকসিন। অন্য়দিকে, যেসব পড়ুয়া বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন, তাঁদের বিনামূল্য়ে ভ্য়াকসিন দিচ্ছে একটি বায়োটেক কোম্পানি।
দক্ষিণ সাংহাইয়ের জিয়াস্কিং শহরে সিনোভ্য়াকের ভ্য়াকসিন দেওয়া হচ্ছে। হাই-রিস্ক গ্রুপের আওতায় যাঁরা পড়ছেন, তাঁরাই প্রথম অগ্রাধিকার পাবেন। চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে ভ্য়াকসিনটির। কিন্তু এখনও অনুমোদন পায়নি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি অনুমোদনের অধীনে এই ভ্য়াকসিন দেওয়া হচ্ছে।
অন্য়দিকে, চিন ন্য়াশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি) নামে সে দেশের আরেকটি ভ্য়াকসিন নির্মাতা বিনামল্য় সেসব পড়ুয়াদের ভ্য়াকসিন দিচ্ছে, যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা করেন। অনলাইন সার্ভে মারফত ১ লক্ষ ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভ্য়াকসিন গ্রহণ করেছেন। ভ্য়াকসিন পাওয়ার জন্য় বিবেচিত হয়েছেন ৯১ হাজারেরও বেশি মানুষ, এমনটাই জানিয়েছে সিএনবিজি।
আরও পড়ুন: আচমকা অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবক, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত রাখল জনসন এন্ড জনসন
চিনা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির ৫টি ভ্য়াকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু একটিও এখনও অনুমোদন পায়নি। ভ্য়াকসিন তৈরির ইঁদুর দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে চিন। চিনের শীর্ষ স্বাস্থ্য় কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, চলতি বছরের শেষেই সাধারণ মানুষের জন্য় ভ্য়াকসিন আনা হবে।
উল্লেখ্য়, চিনের উহান প্রদেশ থেকেই প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মেলে। তারপর একে একে বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। মার্চ মাসেই সে দেশে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করে বেজিং। যদিও তারপরও সে দেশে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এদিকে, প্রথম করোনা ভ্য়াকসিন এনে তাক লাগিয়েছে রাশিয়া।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন