Advertisment

করোনার একের পর এক নয়া প্রজাতির দাপট, নজর রাখছে WHO

৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় সাত কোটি মানুষ এই মারণ ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
here is a list of countries that are seeing a spike in corona infections

চিনে এই মুহুর্তে টিকাদানের হার ৮৭ শতাংশ।

বিশ্ব থেকে বিদায় নেয়নি করোনা মহামারী। আরও একবার সাবধান করল হু। সেই সঙ্গে হু এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট গুলি আমাদের সামনে আসছে এবং যাদের সংক্রামক ক্ষমতা ওমিক্রনের থেকেও কয়েকগুণে বেশি সেই ভ্যারিয়েন্টগুলির ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

Advertisment

মঙ্গলবার প্রকাশিত সাপ্তাহিক এপিডেমিওলজিকাল আপডেটে বলা হয়েছে ওমিক্রন এখন তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশে। সেই সঙ্গে এই প্রজাতি মিউটেশনের মাধ্যমে একের পর এক নয়া প্রজাতির সৃষ্টি করেছে। তার মধ্যে যে প্রজাতি কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সেটি হল XE ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রজাতিকে ‘রিকম্বিন্যান্ট ফর্ম’ বলেও উল্লেখ করেছে হু।

 হু ঘোষণা করেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা ওমিক্রনের থেকেও ১০ গুন বেশি এবং BA.1, BA.2 এই দুই প্রজাতির সংমিশ্রণে নতুন এই প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ডব্লিউএইচও বলেছে যে সংস্থা BA.1, BA.2, BA.3 এবং বর্তমানে BA.4 এবং BA.5 সহ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট XE এর অপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশে BA.4 এবং BA.5 এর অস্তিত্ব মিলেছে বলেও দাবি করেছে হু। WHO এর মতে যতদিন যাচ্ছে ততই মিউটেশনের মাধ্যমে চরিত্র বদল করে একের পর এক নয়া প্রজাতি আমাদের সামনে আসছে।

আরও পড়ুন: ফের দিল্লিতে বাড়ল সংক্রমণ, একদিনে আক্রান্ত ২৯৯

সেই সঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য টিকার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু আপডেশনের কথা উল্লেখ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। হু তার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গত জানুয়ারি থেকে বর্তমান পরিস্থিতি অতি সংকটজনক। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় সাত কোটি মানুষ এই মারণ ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন।

মাত্র সাত দিনেই এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন ২২ হাজার মানুষ। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৪ শতাংশ বেশি। এর পাশাপাশি হু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে সারা বিশ্বে এখনও প্রচুর মানুষ রয়েছেন যারা করোনা টিকা পাননি তাই নয়া স্ট্রেনের দাপটে যে কোন সময়েই বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Read story in English

WHO corona
Advertisment