আগামী বছরের শুরুতেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই ফাইজার তাদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে বড় দাবি করেছে। শেষ দফার ট্রায়াল সম্পূর্ণ হতেই ভ্যাকসিন বিতরণ করা যাবে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। কিন্তু এবার ভ্যাকসিন নিয়ে নয়া বিতর্ক দেখা দিয়েছে মুসলিম দেশগুলিতে। মালয়েশিয়া থেকে শুরু করে মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশের মুসলিম ধর্মগুরুরা নয়া বিতর্কে মেতেছেন। করোনা ভ্যাকসিন কি হালাল? সেটাই প্রশ্ন তাঁদের।
করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে শুয়োরের মাংসের ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্য এই ভ্যাকসিন অপবিত্র। এমনই দাবি করেছেন একাধিক দেশের ধর্মগুরুরা। এই তথ্য আংশিক সত্য। কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষেত্রে পর্ক জিলেটিন ব্যবহৃত হয়েছে। যদিও ফাইজার, মডার্না, এক্সট্রাজেনেকার মতো সংস্থাগুলির দাবি, তারা ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে শুয়োরের মাংসের কোনওরকম ব্যবহার করেনি। কিন্তু এমন বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে যারা শুয়োরের মাংস ব্যবহার করেছে। কিন্তু সেই সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য প্রকাশ করেনি। তাই মুসলিম প্রধান দেশে সেই সংস্থার তৈরি ভ্য়াকসিন দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।
আরও পড়ুন কোনও ‘নেতিবাচক’ খবর নয়, করোনাভাইরাসের খবর রুখতে বড় পদক্ষেপ
মুসলিম ধর্মগুরুদের একাংশ বলছেন, শুয়োরের মাংসের ব্যবহার হলে এই ভ্যাকসিন মুসলিমদের জন্য অপবিত্র। যদিও ইহুদি ধর্ম গুরুরা তা মানতে নারাজ। ব্রিটিশ ইসলামিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সলমন ওয়াকার জানিয়েছেন, অর্থোডক্স ইহুদি ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে ভিন্নমত ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে পর্ক জিলেটিন ব্যবহার করা হয়। শুয়োরের মাংস ইসলামে হারাম। কিন্তু এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের টিকার প্রয়োজন। আর সেটা নিয়ে বাছবিচার করলে মানব সভ্যতার ক্ষতি হয়ে যাবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন