কুকুর পুষতেও ট্যাক্স দিতে হয়। ভারতের প্রতিবেশী দেশেই রয়েছে এই ব্যবস্থা। শুধু কুকুরই নয়, ঘোড়া বা হরিণ পুষতে গেলেও আপনাকে কর দিতে হবে পুরসভাকে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেই চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। রাজধানী ঢাকার দুই পুরনিগম কর্তৃপক্ষের এমন কর আদায় নিয়ে পোষ্য মালিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০১৬ সাল থেকেই কুকুর, ঘোড়া এবং হরিণ পোষার ক্ষেত্রে কর আদায় করে চলেছে। পড়শি দেশের অগ্রণী সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'-র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশের সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ অনুযায়ী, প্রতি বছর বাড়িতে কুকুর পোষার জন্য মালিককে সিটি কর্পোরশনকে পোষ্য প্রতি ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। তবে হরিণ বা ঘোড়া পুষলে এই করের অঙ্ক পোষ্য প্রতি ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- চেয়ার ভেঙে-কাপড় ছিঁড়ে তাণ্ডব ‘মনমরা’ প্রেমিকের, প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে গেল ভেস্তে?
এতদিন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কুকুর, ঘোড়া বা হরিণ পোষার ক্ষেত্রে কর আদায় করত। এবার চলতি অর্থবর্ষ থেকে একই ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনও। 'প্রথম আলো'-য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পোষ্যে কর আদায় ব্যবস্থা চালু করেছে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরশেন এলাকার ১৩টি হরিণ, ১০টি ঘোড়া এবং ৫টি কুকুরের মালিকরা করের টাকা জমা দিয়েছেন। মোট ২৮টি প্রাণীর ক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরশন সাড়ে ২৫ হাজার টাকা কর আদায় করেছে।
আরও পড়ুন- ‘রাগ করে ঘর ছেড়েছে বউমা’, ফেরাবেন কীভাবে? শাশুড়িকে ‘টিপস’ দিদির দূতের
তবে এই কর আদায় নিয়ে পোষ্যদের মালিকদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকেই বলছেন, কর আদায় করা হলে কর্পোরশেনের দিক থেকেও পরিষেবার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাণীদের শরীর খারাপ হলে তাদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে কর্পরোরেশনকে। শুধু তাই নয়, সময় মতো প্রাণীদের টিকাকরণের দিকটিও নিশ্চিত করতে হবে পুর কর্তৃপক্ষকে।
অন্যদিকে, পোষ্য পালনে কর আদায় নিয়ে বাংলাদেশের পশুপ্রেমী সংগঠনগলিও নানা প্রশ্ন তুলেছে। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে কর আদায় করা হলে যাঁরা শখ করে কুকুর পোষেন তাঁরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। যার জেরে রাস্তায় থাকা কুকুরদের খাবারের সংকট তৈরি হবে।