ফের করোনার ঢেউ। আর, তাতে বেসামাল ইউরোপ থেকে এশিয়া। চিনের বেশ কিছু শহরে ইতিমধ্যেই লকডাউন চলছে। তারমধ্যে সাংহাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বাধ্য হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধু চিনই না। ভারত যখন ১ এপ্রিল থেকে করোনাবিধি তুলে দিচ্ছে, সেই সময় ক্রমশই বেহাল হচ্ছে ইউরোপের দশা। ফ্রান্স-আমেরিকার হাল রীতিমতো বেহাল।
তবে, চিনের অবস্থা এখন সবচেয়ে খারাপ। চিনেই প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। গতবছর মার্চের মধ্যেই সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু, এখন অবস্থা এতটাই খারাপ যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে বাসিন্দাদের মানা করা হয়েছে। চিনের সবচেয়ে বড় ইস্পাত তৈরির শহর তাংশানে মঙ্গলবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। ১৯ মার্চ থেকে গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই শহরে। ২০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পরিবহণ নিয়ে কড়াকড়ি।
চিয়াং এবং চাংচুন শহরও সম্পূর্ণ বন্ধ। দুই শহরেরই বেশিরভাগ মানুষ ওমিক্রন আক্রান্ত। ১১ মার্চ থেকে চাংচুনের ৯০ লক্ষ বাসিন্দা সপ্তাহে একদিন পরপর খাবার কেনার জন্য বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন। জিলিন প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিলিনেও সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছে। সোমবার রাত থেকেই তিন দিনের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে এখানে। চিনের উত্তর-পূর্বের শেনিয়াং শহরের ৯০ লক্ষ বাসিন্দাকে তিন দফায় করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আরও তিন দফায় পরীক্ষা করা হবে বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। ২৪ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবে বলেই প্রশাসন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রে সাফল্য ভারতের, আরও মজবুত এয়ার ডিফেন্স
চিনে ওমিক্রন ঢেউ তুললেও ব্রিটেনে কিন্তু করোনার বিএ.২ ভ্যারিয়েন্ট ঢেউ তুলেছে। এমনটাই সন্দেহ করছেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তেমনটা হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরেও ফের লকডাউন হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর ডক্টর অ্যান্টনি ফউসি। তবে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুহার কম। এটাই এখন একমাত্র আশা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
Read story in English