বিজয় দিবসের আগে ইউক্রেনে আরও একটা ব্যর্থ দিবস দেখল রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সেনার প্রতিরোধের মুখে খারকিভ হাতছাড়া হয়ে গেল রুশ সেনাবাহিনীর। উত্তর-পূর্ব সীমান্তের দিকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। যাওয়ার আগে ইউক্রেনের সেনাকে রুখতে একটি সেতু উড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে রুশ সেনা। এমনটাই দাবি ইউক্রেনের।
সোমবারই বিজয় দিবস। এই বিশেষ দিনে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েতের বিজয় স্মরণ করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু, তার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর এই পিছু হঠায় রীতিমতো চিন্তিত মস্কো। কারণ, খারকিভ ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছিল, পূর্ব ইউক্রেনের প্রায় ৩০০ মাইল এলাকাজুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রের ছবিটা রীতিমতো জটিল। এর কিছু অংশ রাশিয়ার সেনাবাহিনী। আর কিছু অংশ ইউক্রেনের সেনা দখল করে রেখেছে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল, যে অংশের কথা রাশিয়া বলছিল, সেখান থেকেই তাদের সেনাদের হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- তখন যে টাকায় দুটো মিলত, এখন মেলে একটা সিলিন্ডার, কটাক্ষ রাহুলের
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাশিয়ার সেনা পূর্ব ইউক্রেনে এগোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয় দিবস কাছে এগিয়ে আসায় জয়ের জন্য চাপ বেড়েছে রুশ সেনাবাহিনীর ওপর। এই পরিস্থিতিতেই কিন্তু, বিশেষ কিছু সুবিধা করে উঠতে পারল না রুশ সেনা। উলটে তাদের পিছু হঠতে হল। তাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে টক্কর দেওয়ার জন্য এখন ইউক্রেনের সেনারা রীতিমতো তৈরি। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে ইউরোপের প্রথম সারির শক্তিশালী দেশ এবং আমেরিকার তৈরি উন্নত সামরিক অস্ত্রশস্ত্র। যেগুলো গত কয়েক দিন ধরেই ইউক্রেন সেনার জওয়ানদের হাতে লাগাতার এসে পৌঁছচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে খবর, খারকিভের উত্তর পূর্বে প্রায় ১২ মাইল দূরে তিনটি সেতু উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। যাতে ওই সেতুগুলো দিয়ে ইউক্রেনের সেনা তাদের পিছু ধাওয়া করতে না-পারে। তবে, এই জয়েও বিশেষ আহ্লাদিত হতে নারাজ ইউক্রেনের সেনা। তারা মনে করছে ব্রিজের ওপারে ফের রাশিয়া তাদের সেনা জড় করবে। এরপর, সেনার সংখ্যা বাড়লে তারা ইউক্রেনের দিকে হামলা চালাতে পারে। তবে, কেবলমাত্র খারকিভই নয়। গত মাসেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চল থেকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। পালাতে বাধ্য হয়েছে চেরনিহিভ থেকেও।
Read story in English