দু'মাস ধরে একটা জাহাজ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে। নোঙর করার জন্য জ্বালানি পেট্রোল দরকার। কিন্তু, সেই পেট্রোল নেই। তাই জাহাজটিকে তীরে ভেড়ানো যায়নি। পেট্রোল যে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না, তা না। আসলে, কেনার টাকা নেই। কারণ, জাহাজের পেট্রোল কেনার মত বৈদেশিক মুদ্রাই নেই শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে। আর, তাই এবার জনগণকে পেট্রোল কেনার জন্য লাইনে না-দাঁড়াতে অনুরোধ করল শ্রীলঙ্কা সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের সর্বত্র এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, পেট্রোল না-থাকলেও যথেষ্ট ডিজেল আছে। আপাতত তাই দিয়েই জ্বালানির প্রয়োজন মেটাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র।
তাহলে ওই জাহাজটার কী হবে? ২৮ মার্চ থেকে তো, নোঙর করার জন্য শ্রীলঙ্কার জলসীমায় দাঁড়িয়ে আছে ওই জাহাজ। এই ব্যাপারে দ্বীপরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চন উইজেসেকেরা শ্রীলঙ্কার সংসদকে বলেছেন, এই মুহূর্তে তাঁদের কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে জাহাজ চালানোর জন্য পেট্রোল কেনার মত মার্কিন ডলার নেই। এমনিতে ওই জাহাজের জন্য ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করা বাকি আছে। তাই নতুন করে পেট্রোল কেনার সম্ভাবনা নেই।' কারণ, যতক্ষণ না আগের অর্থ শোধ হচ্ছে। নতুন করে পেট্রোল পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন- গুরু অমরদাস জয়ন্তীর দিন আক্রান্ত শিখ সম্প্রদায়, গুলিতে খুন দুই যুবক
মন্ত্রী বলেন, 'এজন্যই আমরা জনগণকে জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে না-থাকতে অনুরোধ করেছি। ডিজেলের কোনও সমস্যা নেই। যথেষ্ট ডিজেল আছে। তবে, পেট্রোলের জন্য দয়া করে কেউ লাইনে দাঁড়াবেন না। আমাদের কাছে অতি সামান্য পেট্রোল মজুত আছে। আমরা জরুরি পরিষেবা, বিশেষ করে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ওই পেট্রোল ব্যবহার করছি। আমরা এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা বুঝি যে শুধুমাত্র দৈনিক জ্বালানি কেনার মাধ্যমেই টু এবং থ্রি-হুইলারগুলি চলে। কিন্তু, আমাদের কিছু করার নেই।' মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগের অর্থই শোধ হয়নি। তাই ধারে পেট্রোল কেনার যে সুযোগ, তা-ও আপাতত নেই। সেই কারণে, অন্তত দুটো দিন করে শ্রীলঙ্কাবাসী যেন জ্বালানিই না-কেনেন, সেই অনুরোধই করেছেন মন্ত্রী।
Read full story in English