লাদাখ সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারত-চিনের সংঘাতকে হাতিয়ার করে সুবিধা নিতে পারে তৃতীয় কোনও দেশ। দুই দেশের সংঘাতের জেরে ইউরেশিয়া তথা গোটা বিশ্বে অস্থিতাবস্থার পরিবেশ তৈরি করতে পারে। সেই সুযোগে অন্য দেশ ফায়দা লুঠতে পারে বলে সতর্ক করল রাশিয়া। একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন বলেছেন, ভারত-চিনের মতো এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাশিয়া। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা উচিত বলে মনে করছে পুতিনের দেশ।
প্রসঙ্গত, ভারত ও চিন দুই দেশই স্কো এবং ব্রিকস রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সদস্য। বাবুশকিন বলেছেন, সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য আলোচনাই একমাত্র পথ। তাঁর মতে, "এটা পরিষ্কার যে, বিশ্বে অস্থির পরিস্থিতি এবং অনিশ্চয়তার জন্য ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত আঞ্চলিক স্থিতাবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেটার সুযোগ নিতে পারে তৃতীয় কোনও দেশ।"
আরও পড়ুন সংঘাতে ইতি? প্য়াংগংয়ে সেনা সরাতে রাজি চিন, নজর রাখছে ভারত
বলা বাহুল্য এই উক্তির মধ্যে দিয়ে তিনি ইঙ্গিত করেছেন আমেরিকার দিকে। সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ভারত সফরে এসে নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। লাদাখ বিবাদ নিয়েও চিনকে পরোক্ষে কটাক্ষ করেছেন। ভারতের বন্ধু দেশ রাশিয়া বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর দেশ আমেরিকা-রাশিয়ার ঠান্ডা লড়াই কার না জানা নেই!
দুই দেশের সংঘাত নিয়ে রাশিয়া চিন্তিত বলে বলে জানিয়েছেন পুতিনের আধিকারিক। বলেছেন, "দুই দেশই বিশ্বের এবং যথেষ্ট দায়িত্ববান প্রতিবেশী দেশ। আর্থিক এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত-চিনের গুরুত্ব অপরিসীম।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন