পবিত্র রমজান মাসে রক্তাক্ত হল আফগানিস্তানের মসজিদ। উত্তর আফগানিস্তানে বৃহস্পতিবার প্রার্থনা চলাকালীন ওই শিয়া মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, আহত ৪০ জনেরও বেশি। মাজার-এ-শরিফ এলাকার একটি হাসপাতালের প্রধান ডা. ঘাওসুদ্দিন আনওয়ারি বলেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স এবং প্রাইভেট গাড়িতে করে মৃত-আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, মাজার-এ-শরিফের উত্তরে সাই দোকেন মসজিদে এদিন বিস্ফোরণ হয়। মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের প্রার্থনা চলছিল তখন। সেই সময় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মসজিদ। এর আগে কাবুলে রাস্তার ধারে একটি বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছিল। এবার মাজার-এ-শরিফে মসজিদে বিস্ফোরণ। দুই ক্ষেত্রেই দেশের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের নিশানা করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত নাশকতার দায় কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেট খোরাসানের কাজ এটা হতে পারে বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর। এই ধরনে বিস্ফোরণের ধাঁচ খোরাসানদের পুরনো অভ্যাস। কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান টুইট করে জানিয়েছেন, পশ্চিম কাবুলে রাস্তার ধারে বিস্ফোরণে শিয়াদের নিশানা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন কাবুলের স্কুলে পর পর বিস্ফোরণ, নিহত কমপক্ষে ৭ শিশু সহ বহু
দুদিন আগেই একই জায়গায় পর পর বিস্ফোরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করা হয়েছিল। ছজন পড়ুয়া নিহত হয়, ১৭ জন ঘায়েল হয়। আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা এই হত্যালীলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের ৩.৬ কোটি জনসংখ্যার ৯ শতাংশ হল হাজারা সম্প্রদায়। দেশের অন্য উপজাতি যেমন তাজিক, উজবেক এবং পাশতুনদের থেকে আলাদা এই হাজারারা বার বার আক্রমণের মুখে পড়ছেন।
আরও পড়ুন পাকিস্তানের হালও শ্রীলঙ্কার মতোই, ‘ঋণে ডুবছে’, সতর্ক করলেন শেহবাজ
এরা সিংহভাগই শিয়া মুসলিম। কট্টরপন্থী সুন্নি ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা এদের নিশানা করে। বিশ্বের বিভিন্ন সুন্নি অধ্যুষিত দেশে শিয়ারা নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা স্কুলে হামলা চালিয়েছিল। মূলত শিয়া অধ্যুষিত দস্ত-এ-বারচি এলাকায়। এবার মসজিদে হামলা চালানো হল।