চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া-সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশ বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করল রবিবার। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্গত ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা রবিবার ভিয়েতনামে ৩৭তম আসিয়ান সম্মেলনের অন্তিম দিনে এই ভার্চুয়ালি এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারত এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হয়নি। গত বছরই এই প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় ভারত।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী এনগুয়েন জুয়াম ফুক বলেছেন, বহুজাতীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আসিয়ান দেশগুলি এই চুক্তির মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে একটা দিশা দিল। করোনা অতিমারীর জেরে সরবরাহ এবং রফতানি বাণিজ্যের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। সেই ক্ষত মেরামতির কাজ করবে এই বাণিজ্য চুক্তি। এই সব দেশগুলির মোট জনসংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। সেইসঙ্গে সম্মিলিত আর্থিক বৃদ্ধির হার ২৬.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অতিমারীর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই বাণিজ্য চুক্তি সহায়তা করবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শুল্ক কমিয়ে, সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি করে নতুন ই-কমার্স নীতি প্রণয়ন করা হবে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন প্রথমবারের জন্য বাইডেনের সাফল্য স্বীকার করলেন ট্রাম্প
গত বছরই এই মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়ে যায়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ভারত চুক্তি বাতিল করে গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন জানিয়েছিলেন, রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ বা রিসেপ ভারতীয়দের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে। তবে পরে এই বাণিজ্য চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ভারত। তবে বলা বাহুল্য, চিনের কারণেই বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসে ভারত। যেটা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আন্দাজ করতে পেরেছেন। এই বাণিজ্য-চুক্তি থেকে সরে আসার কারণে ভারতের ক্ষতি হবে না কি তা এবার সময়ই বলবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন