ফ্রান্সে আবারও শিরচ্ছেদের ঘটনা ঘটল। ফ্রান্সের নিস শহরে এক চার্চে ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক মহিলার মুণ্ডচ্ছেদ করেছে এক হামলাকারী। ছুরি নিয়ে হামলায় আরও ২ জনের মৃত্য়ুর খবর মিলেছে। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদ বলে বর্ণনা করেছেন সে শহরের মেয়র।
হামলাকারীকে পুলিশ আটক করেছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এস্ট্রোসি। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলায় ৩ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: প্যারিসে শিক্ষকের শিরচ্ছেদ, ‘ইসলামিক জঙ্গি হামলা’ বলে দাবি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর
ফ্রেঞ্চ অ্য়ান্টি-টেরোরিস্ট প্রসিকিউটর্স ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, হামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, হামলার পরই গোটা চার্চকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অ্য়াম্বুল্য়ান্স ও দমকলের গাড়ি পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য়, গত ১৬ অক্টোবর নবীর কার্টুন দেখানোর অভিযোগে ১৬ বছরের এক চেচেন বংশোদ্ভূত কিশোর ফরাসি শিক্ষকের প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদ করে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এ ঘটনাকে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন খ্রিস্টান অধ্যুষিত ফ্রান্সের বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু নবীর কার্টুনকে ঘিরে ফ্রান্সের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেছে সৌদি, তুরস্ক, পাকিস্তান-সহ একাধিক মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। সেই পথে হেঁটেছে বাংলাদেশের মুসলিমরাও।
ফরাসি শিক্ষকের প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনার পরই মৌলবাদীদের কটাক্ষ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরপরই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় সরব হয় মুসলিম দুনিয়া।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন