Advertisment

ফ্রান্সে সম্প্রীতির ছবি, গির্জা আগলালেন ফরাসি মুসলিম যুবকরা

এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য়ে তাঁদের এহেন পদক্ষেপ যেন আশার আলো দেখাল, এমনটাই বলছেন প্য়ারিসের ধর্মযাজকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
French Muslims church, ফ্রান্স

সেই ছবি।

একের পর এক হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ফ্রান্সের মাটি। ‘ইসলামোফোবিয়া’য় ভুগছে সে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এ যেন একেবারে সম্প্রীতির ছবি সামনে এল। চার্চের সামনে রীতিমতো প্রহরীর ভূমিকা পালন করলেন একদল মুসলিম যুবক। কিছুদিন আগে ফ্রান্সের নিস শহরের এক গির্জায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারপর চার্চের সামনে মুসলিম যুবকদের পাহাড়া দেওয়ার ছবি ঘিরে চর্চায় বিভিন্ন মহল।

Advertisment

চার্চে হামলার ঘটনা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন ফরাসি বংশোদ্ভূত মুসলিম ইলিয়াজিদ বেনফেরহাট। এ ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরই চার্চ আগলানোর জন্য় পদক্ষেপ করতে উদ্য়োগী হলেন তিনি। অল সেন্টস হলিডে উইকেন্ডে শহরের ক্য়াথিড্রালের সামনে পাহাড়া দিলেন ইলিয়াজিদ ও একদল মুসলিম যুবক।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের রাগ বুঝতে পারছি, কিন্তু সন্ত্রাস বরদাস্ত করব না: ম্যাক্রোঁ

এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য়ে তাঁদের এহেন পদক্ষেপ যেন আশার আলো দেখাল, এমনটাই বলছেন প্য়ারিসের ধর্মযাজকরা। বেনফেরহাটের কথায়, অন্য় কিছুর থেকে তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি একজন ফরাসি। তাঁর মায়ের জন্ম আলজেরিয়ায়। কিন্তু তাঁর জন্ম ফ্রান্সে। এখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা।

সংবাদসংস্থা দ্য় অ্য়াসোসিয়েটেড প্রেসকে বেনফেরহাট বললেন, ‘‘কিন্তু আমি একজন মুসলিম...আমরা দেশে ইসলামোফোবিয়া দেখেছি। সন্ত্রাস দেখেছি’’। তাঁর আরও সংযোজন, যতবার ফ্রান্সে আঘাত হানে ইসলামিক চরমপন্থীরা, ততবার ফরাসি মুসলিমদের একটা স্টিগমা দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ এই হামলার ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগসূত্রই নেই।

গত মাসে প্য়ারিসে শিক্ষকের শিরচ্ছেদের ঘটনাকে ‘অভূতপূর্ব নিষ্ঠুরতা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

International news
Advertisment