আস্থা ভোটের আগে ফের একবার নাম না করে আমেরিকাকে নিশানা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার ইমরানের দাবি, একটা 'শক্তিশালী দেশ', যারা ভারতকে সমর্থন করছে, তারা পাকিস্তানের উপর ক্ষুব্ধ। কারণ, সম্প্রতি তিনি রাশিয়ায় গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
শুক্রবার ইসলামাবাদ সুরক্ষা সংসদে বক্তব্য রাখার সময় ইমরান বলেন, "দেশের জন্য এখন খুব প্রয়োজন একটি স্বতন্ত্র বিদেশ নীতি। এই কারণেই পাকিস্তান অন্যান্য শক্তিশালী দেশের নির্ভরতা থেকে মুক্ত হতে পারছে না। দেশের উন্নতিও শিখরে পৌঁছচ্ছে না।" তিনি বলেন, "স্বতন্ত্র বিদেশনীতি ছাড়া কোনও দেশ তার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পারে না।"
ইমরানের বক্তব্য, "স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত জরুরি। তার বদলে বিদেশি সাহায্যের জন্য অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা অনুচিত।" নাম না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শক্তিশালী দেশ' তাঁর রাশিয়া সফর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এপিপি নিউজের রিপোর্টে প্রকাশ। তিনি আরও বলেন, "অন্যদিকে সেই দেশই ভারতকে সাহায্য করে যে কি না রাশিয়া থেকে তেল কেনে।"
আরও পড়ুন ইমরানকে হত্যার ষড়যন্ত্র পাকিস্তানে! বিস্ফোরক দাবি মন্ত্রীর, বাড়ানো হল সুরক্ষা
ইমরানের মন্তব্যের ঠিক একদিন আগেই পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন দূতকে তলব করে। বিদেশ মন্ত্রক একটি হুমকি চিঠি এবং পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার ফেলে দেওয়ার বিদেশি মদতপুষ্ট চক্রান্তের কথা জানায় মার্কিন দূতকে। বৃহস্পতিবার দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার পর মার্কিন কুটনীতিবিদকে তলব করে বিদেশমন্ত্রক।
আরও পড়ুন ‘কূটনীতির দ্বারা বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে ভারত’, লাভরভকে বললেন জয়শংকর, বার্তা পশ্চিমী দুনিয়াকে
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার দিনই রাশিয়ায় পা রাখেন ইমরান খান। সেদিন মস্কোয় পৌঁছনোর পর তাঁর একটি মন্তব্য ভাইরালও হয়। তিনি বিমানবন্দরে নেমেই বলেন, এমন একটা দিনে রাশিয়ায় এলাম। বেশ উত্তেজনা হচ্ছে। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে যুদ্ধ নিয়ে এমন মন্তব্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং অসমীচিন বলে কটাক্ষ করেন অনেকে।
অন্যদিকে, গত বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এখনও পাক প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্যমূলক ফোন করেননি জো বাইডেন।