Advertisment

রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত ভারত, 'কথায় কাটুক জট', ফের বার্তা দিল্লির

ইউক্রেনে রুশ সেনার 'বেআইনি দখলদারি' নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পুতিনের দেশের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
russian president putin lauds india again

মোদীরও প্রশংসা করেছেন পুতিন।

রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ফের রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে সে দেশের চারটি প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। পুতিনের বাহিনীর এই 'বেআইনি দখলদারি'র নিন্দা করে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। সেই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত।

Advertisment

যদিও শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাব শেষমেশ গৃহীতও হয়নি। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিল রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভারত ছাড়াও চিন, গ্যাবন এবং ব্রাজিল ভোটদানে বিরত ছিল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে বোইনি দখলদারির অভিযোগ এনে রাষ্ট্রসংঘে নিন্দা প্রস্তাব আনে আমেরিকা এবং আলবেনিয়া। ইউক্রেনের স্বীকৃত সীমানার মধ্যে অবৈধ দখলদারির নিন্দা করে ওই প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে ভোট না দিলেও রুশ আগ্রাসন বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধের আবেদনও জানিয়েছে দিল্লি। যাবতীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মেটানোর বার্তা ভারতের। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়েও গভীর উদ্বেগে ভারত। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে আরও একবার সেই উদ্বেগ জানিয়েছেন স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজে।

আরও পড়ুন- বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল, কাশ্মীরে সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা ২ জইশ জঙ্গি

তিনি বলেন, ''মানুষের জীবনের মূল্য দিয়ে কোনও সমাধান কখনও আসতে পারে না। দিল্লি সবসময় একথাই বিশ্বাস করে।'' সংবাদসংস্থা পিটিআইকে রুচিরা আরও বলেছেন, ''হিংসা ও শত্রুতা শেষ করে অবিলম্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনায় বসতে হবে সব পক্ষকে। মতবিরোধ নিষ্পত্তির একমাত্র উত্তর হল আলোচনা।''

এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের ক্রমাগত প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেছেন রুচিরা। ইউক্রেন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। মোদীর কথা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও। ওই আলাপচারিতার মূল লক্ষ্যই ছিল ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের পথ খোঁজা। সেকথাও রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে আরও একবার উল্লেখ করেছেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

অন্যদিকে, বিদেশমন্ত্রকের তরফেও রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। টুইটে বিদেশমন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, ''আলোচনাই বিরোধ মেটানোর একমাত্র পথ। যদিও শান্তির পথ তৈরির জন্য আমাদের কূটনৈতিক সমস্ত চ্যানেল খোলা রাখতে হবে।''

India United Nations Russia-Ukraine Conflict
Advertisment