করোনা মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের পাশে বন্ধু ভারত। ভারত পড়শি দেশকে করোনা টিকার ২০ লক্ষ ডোজ পাঠাচ্ছে। কিন্তু সমস্যায় পড়েছে আরেক পড়শি দেশ পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপের জেরে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে তাদের। কিন্তু ভারতে তৈরি টিকা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য নিতে পারে ইমরান খানের দেশ। এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্র মারফত।
সোমবারই বাংলাদেশের সরকার নিশ্চিত করেছে যে, আগামী ২০ জানুয়ারি বিশেষ বিমানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ২০ লক্ষ ডোজ ঢাকায় পৌঁছবে। ভারতীয় হাইকমিশনের মারফত সেই টিকার ভাণ্ডার বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বাংলাদেশে এখনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ৭,৯০০ জনের মতো মানুষের। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের ড্রাগ কন্ট্রোলার কোভিশিল্ড টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ওই দেশেও ৫ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজারের মতো মানুষের।
আরও পড়ুন সুপ্রিম কোর্টের ২ মহিলা বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন
সূত্রের খবর, ইসলামাবাদ কোভ্যাক্সের মারফত টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে। কোভ্যাক্স হল গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস এন্ড ইমিউনিসেশন এবং অতিমারী মোকাবিলায় গঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি যৌথ উদ্যোগ। এই জোট বিশ্বের ১৯০টি দেশকে তাদের ২০ শতাংশ জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে। পাকিস্তান প্রথম ডোজের কনসাইনমেন্ট পেতে পারে চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে। বাকি জনসংখ্যার জন্য পাকিস্তান চেষ্টা করছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন পাওয়ার। যদিও পাকিস্তান সরকারের তরফে এখনও নয়াদিল্লির কাছে টিকা নিয়ে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন