ইতিহাসে প্রথমবার, TIME ম্যাগাজিনের কভারে ইন্দো-মার্কিন 'বিস্ময় কিশোরী'

৫০০০ মনোনীতের মধ্যে থেকে এই বিস্ময় কিশোরীকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

৫০০০ মনোনীতের মধ্যে থেকে এই বিস্ময় কিশোরীকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বয়স মাত্র ১৫। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে সেই কিশোরীই এবার টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে প্রথমবার কিড অফ দ্য ইয়ার সম্মানে ভূষিত হল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত গীতাঞ্জলি রাও বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিস্ময় প্রতিভা। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিস্ময় আবিষ্কারের জন্য এমন বিরল সম্মান পেল গীতাঞ্জলি। প্রযুক্তির ব্যবহারে দূষিত পানীয় জল থেকে উদ্ভূত সমস্যা থেকে শুরু করে সাইবার আক্রমণের মতো বিষয় মোকাবিলা করার উপায় তার নখদর্পণে। তাই প্রথা ভেঙে প্রথমবার টাইম ম্যাগাজিন গীতাঞ্জলিকে তাদের কভারে স্থান দিয়েছে। ৫০০০ মনোনীতের মধ্যে থেকে এই বিস্ময় কিশোরীকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

Advertisment

একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে কলোরাডোর বাসিন্দা গীতাঞ্জলি বলেছিল নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতার কথা। আর বাকিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিল, "যদি আমি করতে পারি, তাহলে যে কেউ করতে পারবে।" এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নিজের কাজের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে গীতাঞ্জলি। ২০১৭ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিল সে। যার সাহায্যে কার্বন ন্যানোটিউব সেন্সর দিয়ে জলের মধ্যে সীসাকে চিহ্নিত করে জলের সমস্যা সমাধান করা যায়। পরে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের আবিষ্কৃত যন্ত্র বাজারে আনে সে। সেইসময় আমেরিকার শীর্ষ খুদে বিজ্ঞানীর তকমা পেয়েছিল গীতাঞ্জলি।

Advertisment

আরও পড়ুন পিরামিডের সামনে অশ্লীল ফটোশুট! গ্রেফতার ‘স্বল্পবসনা’ মডেল ও ফটোগ্রাফার

২০১৯ সালে ফোর্বসের বিচারে তার আবিষ্কারের জন্য সেরা তিরিশ তালিকায় ছিল গীতাঞ্জলি। বিস্ময় কিশোরী জানিয়েছে, "১০ বছর বয়সে আমি আমার বাবা-মাকে বলেছিলাম যে আমি কার্বন ন্যানোটিউব সেন্সর প্রযুক্তি নিয়ে ডেনভারের জল গুণমান গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা করতে চাই। তখন মা শুনে বলেছিল সেটা আবার কী?" গীতাঞ্জলির কথায় , তাদের প্রজন্মের কাছে তার কাজ দ্রুত পরিচিতি পাবে। আর যদি সেটা না করতে চায়, তাহলে সে নিজেই করবে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Indo-American Kid of The Year Time Magazine