আশঙ্কাই সত্যি হল! যাত্রীসমেত টেক অফ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সলিল সমাধি হল ইন্দোনেশিয়ার শ্রীবিজয়া এয়ারের বিমানের। রবিবার বোয়িং ৭৩৭-৫০০ বিমানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের ২৩ মিটার গভীরে খুঁজে পান ডুবুরিরা। শনিবার দুপুরেই জাকার্তা থেকে পন্টিয়ানাক গামী ওই বিমানের টেক অফ করার এক ঘণ্টার মধ্যে এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর আজ, জাভা সমুদ্রের কাছে তার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল।
এয়ার চিফ মার্শাল হাদি জাহজান্তো জানিয়েছেন, "উদ্ধারকারী ডুবুরিদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে যে, বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের গভীর পাওয়া গিয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে বিমানটি ক্র্যাশ করেছিল।" তার আগে উদ্ধারকারীরা কিছু দেহাবশেষ, কাপড়ের টুকরো এবং ধাতব পদার্থ জল থেকে তোলেন। তবে এখনও ৬ জন ক্রু মেম্বার এবং ৫৬ জন যাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়নি। সেই খোঁজ চলছে। যাত্রীদের মধ্যে ৬টি শিশুও ছিল।
আরও পড়ুন মাঝ আকাশে ‘গায়েব’ যাত্রীবোঝাই বিমান! ব্যাপক চাঞ্চল্য, শুরু সার্চ অপারেশন
শনিবার দুপুরে মাঝ আকাশে নিখোঁজ হওয়ার পর শ্রীবিজয়া এয়ারের বিমানের হদিশ পায় একটি নৌসেনার জাহাজ। সংকেত থেকে তারা বুঝতে পারে সমুদ্রে ক্র্যাশ করে থাকতে পারে বিমানটি। তবে বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা। এবং জীবিত কারও হদিশ পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো সরকার এবং সমস্ত ইন্দোনেশিয়াবাসীর তরফে এই দুর্ঘটনায় শোক ব্যক্ত করেছেন। যাত্রীদের পরিজনদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সরকার।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হার মানবেন না। সবরকম চেষ্টা করছেন তাঁরা যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য। শ্রীবিজয়া এয়ারের প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর জেফারসন আরউইন জাউওয়েনা জানিয়েছেন, বিমানটি ২৬ বছরের পুরনো ছিল। এর আগে আমেরিকায় বিমানটি ব্যবহৃত হয়েছে। একদম ভাল অবস্থায় ছিল সেটি। উড়ানযোগ্য বিমানটি শনিবারই পন্টিয়ানাক থেকে পানংকাল পিনাং শহরে যাত্রা করেছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন