সরষে বা রিফাইন তেলের যা দাম, তার চেয়ে বরং পাম তেল দিয়ে রান্না করাটা গরিব মানুষের পক্ষে সহজ। বেশ কিছুদিন আগেও অনেক ক্রেতারই এমনটাই ছিল মনোভাব। কিন্তু, রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার জেরে সেই পাম তেলের দামই চড়চড় করে বেড়ে গিয়েছিল। পরে, তা আর পাওয়াই হয়ে পড়েছিল দুষ্কর। এবার সেই সংকট কাটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাম তেল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সেদেশের প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা জানান।
বিশ্ববাজারে যে সব দেশগুলো পাম তেলের জোগান দেয়, তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার নাম প্রথমেই রয়েছে। গোটা বিশ্বের মোট পাম তেল রফতানি বাজারের ৬০ শতাংশই রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দখলে। তাই ইন্দোনেশিয়া সরকারই পাম তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানোয়, আশার আলো দেখছে পাম তেল আমদানিকারী দেশগুলো। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল বিশ্বের প্রথমসারির পাম তেল রফতানিকারী দেশগুলো অপরিশোধিত পাম তেল রফতানি বন্ধের কথা জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত ওজনের কারণে প্রতিবছর ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আনল WHO
এমনিতেই করোনা আবহে গোটা বিশ্বে দীর্ঘদিন রফতানি বাণিজ্য মার খেয়েছে। তার মধ্যে পাম তেল রফতানিকারী দেশগুলো রফতানি বন্ধের কথা জানানোয় সমস্যা বাড়তে শুরু করে। এই ব্যাপারে ওই রফতানিকারী দেশগুলোর পালটা যুক্তি, তাদের দেশের নাগরিকরাই রান্নায় তেলের অভাবে ভুগছিলেন। কারণ, অন্যান্য রান্নার তেলের দাম অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। তাই নিজেদের দেশের নাগরিকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই তাঁরা পাম তেল রফতানি বন্ধ রেখেছিলেন। সেই চাহিদা পূরণ হওয়ায় এবার পাম তেল রফতানির দিকে তাঁরা জোর দিতে চান। এতে পাম চাষের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরাও লাভের মুখ দেখবেন বলেই মনে করছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
বর্তমানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত খনিজ তেলের পাশাপাশি, রান্নার তেলের জোগানেরও অভাব দেখা দিয়েছে। কারণ, বিশ্ববাজারে সূর্যমুখী তেলের জোগানদার হিসেবে ইউক্রেনের নাম উঠে আসে সর্বাগ্রে। কিন্তু, রাশিয়ার হামলায় সেই ইউক্রেনেরই চাষবাস বর্তমানে শিকেয়। এই পরিস্থিতিতে বাজারে পাম তেলের জোগান কিছুটা হলেও সূর্যমুখী তেলের অভাব পূরণ করবে বলেই মনে করছে ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন।
Read full story in English