দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধে ইতি টেনে গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান ছেড়েছে মার্কিন সেনা। তাও যেন আফগানিস্তান ভূত তাড়া করছে আমেরিকাকে। তালিবান তো ছিলই, এবার নতুন মাথাব্যথা ইসলামিক স্টেট খোরাসান। মার্কিন গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমেরিকায় বড়সড় হামলা চালাতে পারে ISIS-K। হুঁশিয়ারি দিয়ে পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা নীতির সচিব কলিন কাহল বলেছেন, আফগানিস্তানে দু-দশকের যুদ্ধের অবসান করলেও ওই দেশ আমেরিকার জাতীয় সুরক্ষার জন্য উদ্বেগের বিষয়। তালিবানরা আফগান সেনার সঙ্গে যুদ্ধে জিতলেও ওদের শত্রু খোরাসান বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে গন্ডগোল পাকিয়েছে। কাবুল এয়ারপোর্টের বাইরে ধারাবাহিক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ তার প্রমাণ। ইসলামিক স্টেট আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়াদের উপর হামলা চালাচ্ছে, তালিবান যোদ্ধার মুণ্ডচ্ছেদ করেছে জালালাবাদে।
সেনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির কাছে কাহল একটি বয়ানে বলেছেন, এটা স্পষ্ট নয় যে তালিবান ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে কি না। আফগানিস্তানে তালিবান-সহ ইসলামিক স্টেট এবং আল কায়দার সঙ্গে সমান তালে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে আমেরিকা। কাহল বলেছেন, "এটা আমাদের মনে হচ্ছে যে, তালিবান এবং খোরাসান একে অপরের শত্রু। তাই তালিবান ইসলামিক স্টেট খোরাসানকে শেষ করতে চাইবে। সেটা তাদের ক্ষমতা রয়েছে।" কাহলের মতে, খোরাসানের কয়েক হাজার যোদ্ধা রয়েছে আফগানিস্তানে।
আরও পড়ুন খাবার-ওষুধের হাহাকার, আফগানিস্তানকে সহায়তার আর্জি পাকিস্তান ও ‘বন্ধু’ চিনের
এদিকে, তালিবান বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানিয়েছেন, ইসলামিক স্টেটের তরফ থেকে উদ্বেগের বিষয়টা আফগান সরকার দেখছে। তিনি এটাও বলেছেন, "আফগানিস্তানের মাটি অন্য কোনও দেশে হামলার ষড়যন্ত্রের মাটি হবে না।" কাহলের মতে, "আল কায়দাকে নিয়ে ভাবতে হবে। আরও দু-তিন বছর লাগবে ওদের শক্তি বাড়িয়ে সক্রিয় হতে। তাহলে ওরা আফগানিস্তানের বাইরে আমেরিকায় হামলা করার চেষ্টা করতে পারে।"
কাহলের মতে, "ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়দাকে ধ্বংস করার লক্ষ্য নিতে হবে। যাতে আমেরিকার উপর ওরা হামলা না করতে পারে। আরও বেশি আক্রমণাত্মক হতে হবে ওদের শেষ করার জন্য।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন