আতঙ্কের প্রহর কেটেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের শহর সুমিতে আটকে পড়া সব ভারতীয় ছাত্রদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অপারেশন গঙ্গার অধীনে বিমানগুলিও প্রস্তুত রয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে।
টুইটে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি লিখেছেন, ''এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে আমরা সুমি থেকে সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের সরিয়ে দিতে পেরেছি। তাঁরা বর্তমানে পোলতাভার পথে রয়েছেন। যেখান থেকে তাঁরা পশ্চিম ইউক্রেনের ট্রেনে উঠবেন। তাঁদের বাড়িতে আনার জন্য অপারেশন গঙ্গার অধীনে বিমানগুলিও তৈরি রয়েছে।''
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও অনবরত রুশ গোলাবর্ষণ জারি ছিল সুমিতে। ভারতীয় পড়ুয়াদের সুমি থেকে উদ্ধারে পদে পদে বেগ পেতে হয়েছে কেন্দ্রকে। এক সময় সুমি থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন। মোদীর সেই আলোচনার পরেই জট কাটে।
সুমি থেকে সরানো হয়েছে প্রায় ৭০০ ভারতীয়কে। যাঁদের বেশিরভাগই সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র। সোমবারও তাঁরা আটকেছিলেন। ভারতীয় দূতাবাস সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটিকে জানায়, রোমানিয়া সীমান্তে পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি নেই। সেই কারণেই তাঁদের উদ্ধার নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে পড়ে গিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। তবে শেষ রক্ষা হয়েছে। রাশিয়ার যুদ্ধবিরতিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই ভারতীয়দের।
আরও পড়ুন- সুমিতে ‘হিউম্যান করিডোর’, শহর ছাড়ছেন সাধারণ নাগরিকরা
সোমবার একটি ভিডিও-য় সুমিতে আটকে থাকা মেহতাব নামে একজন ভারতীয় পড়ুয়া বলেছিলেন, ''আমাদের সরিয়ে নিতে আজ কিছু বাস এসেছিল। কিন্তু আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে ভারত সরকার কিছু তথ্য দিয়েছে। আমাদের সরানো এখনই নিরাপদ নয় বলে জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। আজ মেয়েরা প্রস্তুত ছিল এবং তাঁরা বাসেও উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের হোস্টেলে ফিরে যেতে বলা হয়েছিল।
ওই পড়ুয়া আরও বলেছিলেন, ''বাসগুলো দেখে আমরা সবাই বিশ্বাস করি খুব শীঘ্রই আমাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। আমরা অত্যন্ত খুশি ছিলাম এবং এখন আমরা বিশ্বাস করি যে শীঘ্রই আমাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। শীঘ্রই আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমি ভারত সরকার এবং ভারতীয় দূতাবাসকে তাঁদের এই প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।''
Read story in English