বিয়ে করলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই। তালিবান রক্তচক্ষু এড়িয়ে স্কুলে যাওয়ার অপরাধে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। এক চোখে তালিবানের গুলি খেয়েও তাঁর অদম্য জেদ থেকে সরানো যায়নি। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মঙ্গলবার টুইটারে বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন। জানান, ইংল্যান্ডের বার্মিহ্যামে ঘরোয়া ছোট অনুষ্ঠানে তাঁর নিকাহ হয়েছে।
পাত্র আসার মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার। তবে বরের সম্পর্কে টুইটে কিছু খোলসা করেননি মালালা। কিন্তু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাঁর স্বামী আসার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্তা।
২৪ বছরের মালালা এখন ব্রিটেন নিবাসী। বার্মিংহ্যামে পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন মালালা। দাম্পত্য জীবনের জন্য অনুরাগীদের আশীর্বাদ এবং ভালবাসা চেয়েছেন মালালা। বরে এবং পরিবারের সঙ্গে ছবিও শেয়ার করেছেন টুইটারে।
লিখেছেন, "আজ আমার জীবনের একটা মূল্যবান দিন। আজ আমি আসারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। সারাজীবনের সঙ্গী হিসাবে থাকব আমরা।" প্রসঙ্গত, মালালার গোটা জীবনটাই একটা সংগ্রাম। সেই ছোট্ট বয়স থেকে বহু রক্তচক্ষু উপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে। ২০১২ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তালিবানি হামলার মুখে পড়েন তিনি। চোখে গুলি লাগার পর হাসপাতালে মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরে আসেন তিনি।
রাষ্ট্রসংঘে নারীশিক্ষা ও স্বাধীনতা নিয়ে বক্তৃতা দেন এরপর। সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা। বিশ্বের বহু প্রান্তে নারীশিক্ষা ও স্বাধীনতার ভাষা হিসাবে মালালার নাম উচ্চারিত হয়। যদিও তাঁর নিজের দেশ পাকিস্তানে তাঁকে নিয়ে সাধারণ মানুষ দ্বিধাবিভক্ত। উল্লেখ্য, এই বছর জুলাইয়ে মালালা ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত নন বিয়ে করবেন কি না।
আরও পড়ুন এবার কোভ্যাক্সিনকে ব্রিটেনের অনুমোদন, প্রয়োজন নেই RTPCR-আইসোলেশনের
তিনি বলেছিলেন, "আমি এখনও বুঝতে পারি না কেন মানুষ বিয়ে করে। যদি কাউকে আপনি জীবনে পাশে চান তাহলে কেন বিয়ের কাগজে সই করতে হবে! কেন সেটা পার্টনারশিপ হতে পারে না?" মালালার এই মন্তব্যের পর পাকিস্তানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন