/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/Joe-Biden.jpg)
জো বিডেন
দিন কয়েক আগে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট অনুষ্ঠানে পরিবেশ দূষণ নিয়ে বলতে গিয়ে বন্ধু দেশ ভারতকে আক্রমণ করে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের বায়ু দূষিত বলে কটাক্ষ করায় ভারতীয়দের রোষের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরম বন্ধু ট্রাম্প। ট্রাম্পের কটাক্ষকে হাতিয়ার করে এবার তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের মন্তব্যকে কুরুচিকর বলে কটাক্ষ করে বিডেন বলেছেন, তিনি এবং উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ভারতের সঙ্গে গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাঁরা সেই সম্পর্কের মূল্য বোঝেন।
তাঁর পাল্টা টুইট আক্রমণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের বাতাসকে নোংরা বলেছেন, "বন্ধু দেশের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য এমন কথা বলা অশোভনীয়।" প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বায়দূষণকে দায়ী করে ভারত, রাশিয়া এবং চিনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ট্রাম্প। রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে নাহয় আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক ট্রাম্পের সেটা বোঝা গেল। কিন্তু ভারতের বায়ু নিয়ে এমন কুরুচিকর মন্তব্য কেন যেখানে নমস্তে ট্রাম্পের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! এর আগেও করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভারত-চিনকে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, "মৃতের প্রকৃত সংখ্যা লুকাচ্ছে ভারত ও চিন।" তখনও ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি করেন বিডেন। এবারও তাঁর মন্তব্য ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাটল ধরাবে বলে মনে করছেন বিডেন। যদিও ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা ভারতের বিদেশমন্ত্রক মুখে কুলুপ এঁটেছে।
আরও পড়ুন ভারতের বাতাস দূষিত, চরম সমালোচনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিডেন বলেছেন, "কমলা এবং আমি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ওয়াকিবহাল। এবং এই সম্পর্ক যাতে অটুট থাকে সে জন্য ক্ষমতায় এসে বিদেশ নীতিতে সর্বাগ্রে রাখব ভারতকে। যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হই তাহলে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সন্ত্রাস দমনে কাজ করব। এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন বা অন্য কোনও দেশ যাতে প্রতিবেশীদের উপর আগ্রাসী মনোভাব না দেখাতে পারে ও শান্তি-স্থিতাবস্থা বজায় থাকে সেদিকে নজর রাখব।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন