গতকালই ভারতের কৃষক বিদ্রোহকে সমর্থন করে মুখ খুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। এবার প্রবাসী ভারতীয়রাও কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। কানাডার টরন্টোতে কিষাণ মহামিছিল বের করেন প্রবাসী ভারতীয়রা। ভারতীয় দূতাবাস পর্যন্ত সেই মিছিল নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। অস্ট্রেলিয়াতেও বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে মেলবোর্নে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর তাঁরা একটি গাড়ি মিছিল করবেন ব্রিসবেনে।
মেলবোর্নের একজন প্রবাসী ভারতীয় ফিটনেস ট্রেনার সর্ব গিল জানিয়েছেন, "প্রবাসী ভারতীয়রা ভারতের কৃষক-মজদুরদের জন্য ব্যথিত। আমাদের শিকড় এখনও ভারতে। আর সেখানে আমাদের কৃষক ভাই-বোনদের দুঃখ-দুর্দশা আমরা দেখতে পারব না। এই প্রবল ঠান্ডায় তাঁদের সংগ্রামকে আমরা কুর্নিশ জানাই। আর তাঁদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা আমাদের অঞ্চলের সাংসদদের চিঠি লিখে পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপন করতে বলেছি।"
আরও পড়ুন তিন ঘণ্টার বৈঠকেও বরফ গলল না, নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা
তিনি জানিয়েছেন, আজ, ক্যানবেরায় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দর্শকদের মধ্যে ২০-৩০ জন প্রবাসী ভারতীয় কৃষকদের সমর্থনে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে গেছেন। তাঁরা স্টেডিয়ামে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন, যাঁরা এখনও নিজের দেশের কৃষকদের সংগ্রাম নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি। তাঁদের লক্ষ লক্ষ মানুষ অনুসরণ করেন, কিন্তু ক্রিকেটাররা দেশের মানুষের কথা ভাবেন না।
গত ২৮ নভেম্বর প্রায় ৩০০ প্রবাসী ভারতীয় ভিক্টোরিয়ার বাবা বিধি চন্দ গুরুদোয়ারা সাহিব পাকানুমে সমবেত হয়ে বিজেপি সাংসদ সানি দেওল ও তাঁর পরিবারকে সম্পূর্ণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন কৃষক বিদ্রোহ ইস্যুতে। এমনকী জনপ্রিয় পাঞ্জাবি লোকশিল্পী গুরদাস মানকেও কটাক্ষ করেছেন কোনও প্রতিবাদ না করার জন্য।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন