বিশ্বের ৭৭টি দেশে হানা দিয়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। মারণ ওমিক্রনের হানায় ত্রস্ত দুনিয়া। তার মধ্যে মঙ্গলবার আরও উদ্বেগের খবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, আগের সব প্রজাতিকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেনি ঠিকই। কিন্তু সংক্রমণ লাগামছাড়া হতে পারে আরও একবার যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত না হয়। সতর্ক করল WHO।
মঙ্গলবার WHO-র অধিকর্তা ডা. টেড্রস আধানম ঘেব্রেসিউস মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ৭৭টি দেশে হদিশ মিলেছে ওমিক্রনের। অর্থাৎ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে। অনেক দেশে হয়তো হানা দিয়েছে, কিন্তু সেটা চিহ্নিত হয়নি। উদ্বেগের সঙ্গে তিনি বলেছেন, "যে গতিতে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে তা আগের কোনও প্রজাতির ক্ষেত্রে আমরা দেখিনি।"
তিনি আরও বলেছেন, চিন্তার বিষয় যে মানুষ ওমিক্রনকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন। যদিও ওমিক্রনের জেরে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা ফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রস্তুত থাকে। WHO-র অধিকর্তার আশঙ্কা, "শুধুমাত্র টিকা থেকে এ লড়াই জেতা যাবে না। সঙ্কট থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও অত্যন্ত জরুরি। হাত পরিষ্কার রাখা, স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত না হলে সমূহ বিপদ।"
আরও পড়ুন কবে আসছে শিশুদের জন্য টিকা, দিনক্ষণ জানালেন আদার পুনাওয়ালা
বুস্টার ডোজ নিয়ে WHO-র অধিকর্তা জানিয়েছেন, "আমরা বুস্টার ডোজের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমরা অসাম্যের বিরুদ্ধে। এটা অগ্রাধিকারের প্রশ্ন। কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ মানে হলে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যাঁরা প্রথম ডোজ পাননি তাঁদের জীবন বিপন্ন করা। বরং তাঁদের অতিরক্তি ডোজ দিলে অনেক বেশি প্রাণ বাঁচানো যাবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন