ধর্ষকদের চরম শাস্তি দেওয়ার জন্য রাসায়নিক প্রয়োগ করে খোজাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। নয়া অপরাধী আইনে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু শুক্রবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল ইমরান খান প্রশাসন।
আইন বিষয়ক সংসদীয় সচিব মালিকা বুখারি ইসলামাবাদে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, নয়া অপরাধী আইনে সংশোধন করা হয়েছে। রাসায়নিক প্রয়োগ করে খোজাকরণ শাস্তি বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ইসলামিক মতাদর্শ পরিষদ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। সরকারি এই ইসলামিক আইন সংক্রান্ত বিষয়ক সংস্থার দাবি, এই ধরনের শাস্তি ইসলামবিরোধী।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ইমরান খান সরকার তাড়াহুড়ো করে তিন ডজন আইন পাশ করে সংসদে। তার মধ্যে ছিল এই ধর্ষণ অপরাধ আইন। মূলত রাসায়নিত প্রয়োগ করে খোজাকরণ করার নিদান দেওয়া হয়েছে এই আইনে। এই ধরনের শাস্তি পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে চালু আছে সমকামী যৌন অপরাধের জন্য।
আরও পড়ুন পাঁচ দশক পর জাতীয় পতাকার ‘রংবদল’ করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ইমরান খান গত বছর বলেছিলেন, দেশজুড়ে ধর্ষণ-যৌন নির্যাতনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ার কারণে কড়া শাস্তির আইন আনার কথা বলেছিলেন। গত বছর একটি ঘটনায় এক মহিলাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বন্দুকের ডগায় গণধর্ষণ করা হয়েছিল।
পাকিস্তানে ৩ শতাংশেরও কম অভিযুক্তের শাস্তি হয় আদালতগুলিতে। এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়ার এগেইনস্ট রেপ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন