তালিবান যোদ্ধাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। আফগানিস্তানের নঙ্গরহর প্রদেশের রাজধানীতে এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ গোটা এলাকায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নঙ্গরহর প্রভিন্সিয়াল হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বোমা হামলায় এক তালিবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এরই পাশাপাশি আরও সাতজন জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজন সাধারণ নাগরিক রয়েছেন। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী।
আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। ইতিমধ্যেই আফগান মুলুকে তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আফগানিস্তানে শরিয়তি আইন চালু করেছে তালিবান। মুখে তালিবান নেতারা শান্তি কায়েমের কথা বললেও যোদ্ধাদের তাণ্ডব চলছে আফগান মুলুকের সর্বত্র। হাতে বন্দুক নিয়ে রাজধানী কাবুল-সহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। উল্টোদিকে, আফগানিস্তানে তালিবান-বিরোধী বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী রয়েছে। শনিবারের এই হামলায় তেমনই কোনও গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পূর্ব আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সদর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে জালালাবাদেও একই ধরনের হামলা হয়। সেই ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছিলেন। তবে শনিবারের এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও যোদ্ধার নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেনি তালিবান। তালিবান মুখপাত্র মহম্মদ হানিফ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এক পুরকর্মী জখম হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানের বিরোধী গোষ্ঠী আইএস যথেষ্ট সক্রিয়। ২০১৪ সালে আইএস সংগঠনের জন্মের পর থেকেই তাদের সঙ্গে তালিবানের সংঘর্ষ নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছিল। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা হাতে নিলেও তাদের গলার কাঁটা আইএস। আফগান মুলুকের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও তালিবান যোদ্ধাদের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ জারি রয়েছে আইএস-এর।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর রোম সফরে অনুমোদন দিল না বিদেশমন্ত্রক
সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে পরপর বিস্ফোরণ হয়। কাবুল বিমানবন্দরে ওই বিস্ফোরণের জেরে ১৬৯ জন আফগান নাগরিকের পাশাপাশি ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিলেন। বিমানবন্দর চত্বরে একাধিক আত্মঘাতী বিস্ফোরণের মূল চক্রী ছিল আইএস-এর খোরাসান গোষ্ঠী। তালিবান নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিতেই ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল আইএস। শনিবার তালিবান যোদ্ধাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজিতেও বিরোধী গোষ্ঠীর দিকেই অভিযোগের তির। তবে এখনও পর্যন্ত এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন