শান্তি বৈঠকে রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, শর্ত ছাড়াই আলোচনায় রাজি আছেন তাঁরা। যদিও এরই মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, ''আমরা সম্মত হয়েছি। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল ইউক্রেনীয়-বেলারুশিয়ান সীমান্তে পূর্ব শর্ত ছাড়াই রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবে।'' এদিকে, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘও। সোমবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ চলমান সঙ্কট নিয়ে জরুরি একটি বৈঠক করবে।
রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ হয়েও নিয়ম ভেঙে এই আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে বলতে পারে রাষ্ট্রসংঘ। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা একটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার ব্যাপারেও তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ১১টি দেশ ভোট দিয়েছে। যদিও ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত ও চিন। একইভাবে ভোটদানে বিরত থেকেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও। তবে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য বাকি দেশগুলি রাশিয়ার এই পদক্ষেপে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। রাশিয়ার আগ্রাসনের মানবিক প্রভাব নিয়েও সোমবার আলোচনা করবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
আরও পড়ুন- ‘উস্কানিবিহীন-অযৌক্তিক’, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গর্জে উঠে হুঁশিয়ারি বাইডেনের
অন্যদিকে, রবিবারই ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসনে এখনও পর্যন্ত ১৪ শিশু-সহ ৩৫২ ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এপি-র সেই খবরে আরও জানানো হয়েছে, রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনে আরও ১১৬ শিশু-সহ ১,৬৮৪ জন আহত হয়েছেন।
তবে সেই বিবৃতিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে হতাহতের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও রাশিয়াও তার সৈন্যদের মধ্যে হতাহতের কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার স্বীকার করেছে, যে এই যুদ্ধে রাশিয়ান সৈন্যরাও নিহত ও আহত হয়েছেন।
Read story in English