যুদ্ধের চারদিন পর, দীর্ঘ টালবাহানা শেষে আলোচনার টেবিলে ইউক্রেন ও রাশিয়া। বেলারুশ সীমান্তে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেছেন বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক। এর আগে আলোচনায় বসার শর্ত হিসাবে প্রেসিডেন্টের দফতর সাফ জানায়, ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং সংঘর্ষবিরতি করলে তবেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ব্যাচেলেট বলেছেন, অন্তত ১০২ জন নিরীহ নাগরিক যুদ্ধের বলি হয়েছেন। তার মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। চারদিন আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর এই হত্যালীলা করেছে রুশ সেনা। পাশাপাশি, ৩০৪ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত পরিসংখ্যান হয়তো এর চেয়ে অনেক বেশি হবে।
আরও পড়ুন ‘গণহত্যা’, মস্কোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের আদালতে মামলা ইউক্রেনের
রাষ্ট্রসংঘ আরও জানিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছেন। অধিকাংশই প্রতিবেশি মলডোভা, রোমানিয়া, পোল্যান্ডে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
আরও পড়ুন থামুক যুদ্ধ-ফিরুক শান্তি, দ্বন্দ্ব মেটাতে কথায় রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দুটি ছোট শহর দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এমনটাই খবর ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি সূত্রে। রাশিয়া যত আগ্রাসী হচ্ছে ততই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে আবেদন করেছেন, দ্রুত যেন তাদের সদস্যপদ দেওয়া হয়। তিনি এও জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রয়োজনে সামরিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জেলবন্দিদের মুক্তি দেবেন।