আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কিয়েভ। রুশ যুদ্ধ জাহাজ 'মস্কোভা' তে মিসাইল হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। আজ সকালেই ঘটে প্রবল বিস্ফোরণ। এপ্রিল মাসের শুরুতে কিয়েভের আশেপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে রাশিয়া।
সেনা প্রত্যাহারের পর শুক্রবার কিয়েভ এলাকায় ফের হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় শহর থেকে ৮১৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন বলেছে যে সংখ্যা ছিল ২৮৯। রুশ যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংসের পাল্টা হিসাবে কিয়েভে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিয়েভ, দক্ষিণের খেরসন, পূর্বাঞ্চলীয় খারখিভ এবং পশ্চিমের ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে বেজে ওঠে যুদ্ধের সাইরেন। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে কিয়েভের কিছু অংশ বিদুৎহীন হয়ে পড়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধ জাহাজে মিসাইল হামলা চালায় ইউক্রেন সেনা। ইউক্রেনের ওডেসার গভর্নর দাবি করেন ১৩ এপ্রিল রুশ যুদ্ধ জাহাজের ওপর ইউক্রেনীয় বাহিনী মিসাইল হামলা চালায়। আর তাতে সম্পূর্ণ রুপে জাহাজটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে রাশিয়া যুদ্ধ জাহাজে আগুন লাগার কথা স্বীকার করেছে। তবে তা যে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় ঘটেছে সেকথা অবশ্য মানতে চায়নি রাশিয়া। এদিকে ওডেসার গভর্নর দাবি করেন ইউক্রেনীয় বাহিনী কৃষ্ণ সাগরে একটি রুশ যুদ্ধ জাহাজের ওপর হামলা চালায় ফলে জাহাজটি সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের তৈরি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়। এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই কিয়েভ সহ বেশ কিছু শহরে ব্যপক বোমাবর্ষণের খবর মিলেছে। আজ সকালে বোমা বর্ষনের ফলে নতুন করে ইউক্রেনের রাজধানী শহরে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে সংক্রমণ, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লিতে জরুরি বৈঠক আগামী সপ্তাহেই
বুধবারের ঘটনার প্রেক্ষিপ্তে মস্কো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, একটি বিস্ফোরণের কারণে আগুন ধরে যাওয়ায় রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের একটি ফ্ল্যাগশিপ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজের ক্রুদেরও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়ে হয়েছে বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে রাশিয়া আরও দাবি করেছে মারিউপোলে ১০২৬ জন সেনা এবং ১৬২ জন আধিকারিক রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তরফে এই তথ্য মিথ্যা বলা দাবি করা হয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার রাতে এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, রাশিয়ান সেনা ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং পূর্বদিকে সেনা তৎপরতা বাড়াতে শুরু করেছে। রাশিয়া আবার ভারী আক্রমণ চালাতে পারে এমন আশঙ্কা সত্যি করে ফের কিয়েভে হামলা চালায় রুশ সেনা।
Read story in English