তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা ক্রমশ চড়ছে। লাল ফৌজের নজরদারি দিন দিন বাড়ায় উদ্বেগে তাইওয়ান। এদিন তাইওয়ানের তরফে জানানো হয়েছে, পরপর টানা ৩ দিন দ্বীপের দিকে ২টি সামরিক বাহিনীর বিমান পাঠিয়েছিল চিন। পাল্টা জবাবে টহলদারি বিমান পাঠায় তাইওয়ানও। উল্লেখ্য়, তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়ার পরই চিনা নজরদারি বাড়তে শুরু করেছে। কারণ, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলেই দাবি করে বেজিং।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোম, মঙ্গল ও বুধবার চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ২টি বিমান পাঠিয়েছিল। পাল্টা জবাবে, তাইওয়ানের পক্ষ থেকে বিমানগুলি নজরে রাখা হয় ও এয়ার পেট্রল করা হয়।
গত সপ্তাহে তাইওয়ান প্রণালী চত্বরে বম্বার, যুদ্ধবিমান-সহ ৩৭টি ওয়ারপ্ল্য়ান পাঠিয়েছিল চিন। যেহেতু দ্বীপে ইউএস ডিপার্টমেন্টের উচ্চপর্যায়ের এক আধিকারিক সফর করেন, তার পাল্টা হিসেবেই ওই বিমানগুলিই পাঠায় বেজিং।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত মানচিত্র মুদ্রিত নয়া পাঠ্যবই বিতরণ স্থগিত রাখল নেপাল সরকার
কয়েকদিন আগে, আগ্রাসী আচরণ ঠেকাতে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। চিনের দিকে ইঙ্গিত করেই তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য় করেছেন বলে ব্য়াখ্য়া সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের। দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা কার্যকলাপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে তাইওয়ানের।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই দাবি করে চিন। ওই দ্বীপ এলাকার চারপাশে সামরিক কার্যকলাপ বাড়িয়েছে বেজিং।তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, স্বৈরাচারী আগ্রাসী আচরণের থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এগিয়ে রয়েছে তাইওয়ান। চিনের নাম না করে সাই বলেছিলেনন, ”দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক বিস্তার ঘটছে…ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে”।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন