মারিউপোলের থিয়েটার পুনরুদ্ধারে যাবতীয় সাহায্য করবে ইতালি। এই মর্মে ইতালি সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলের থিয়েটার পুনরুদ্ধারে সবরকম সাহায্য করবে সেদেশের সরকার। বুধবার মারিউপোলের থিয়েটার হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে খবর যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচতে থিয়েটারে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন অনেক মহিলা এবং শিশুও। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা। সূত্রের খবর হামলায় নিহতদের সংখ্যা এখনও সামনে আনতে পারেনি ইউক্রান প্রশাসন। প্রশাসন সুত্রে জানান হয়েছে এখনও ধ্বংস স্তুপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষের দেহ। মারিউপোল স্থানীয় প্রশাসএর তরফেও এই হামলার তীব্র নিন্দা করে একটি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতালির তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী, দারিও ফ্রান্সচিনি একটি টুইটার বার্তায় সাহায্যের ঘোষণা করেন। তিনি লিখেছেন, “মারিউপোলের ঘটনা নিন্দনীয়, আমাদের দেশের সরকার এই থিয়েটার পুনরুদ্ধারে সবরকম সাহায্য করবে”।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনা জারী রেখেছেন। তিনি বলেন, “রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয়দের রক্ষা করতে শান্তিপূর্ণ আলোচনা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। আমাদের অবশ্যই যুদ্ধবিরোধী জোটকে শক্তিশালী করতে হবে।”
একই সঙ্গে জারী রয়েছে রুশ হামলা। ইউক্রেনের উপর হামলার ২২ দিন অতিক্রান্ত। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে শুক্রবার রাজধানী কিয়েভ এবং পশ্চিম প্রান্তের শহর লিভিভের উপর মিসাইল-গোলা বর্ষণ করল রাশিয়া। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির নেতারা যখন ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী তকমা দিয়ে ক্রেমলিনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে তখনই হামলা বাড়ালো রুশ সেনা।
আরো পড়ুন: আগামী সোমবারই দেশে ফিরছে ইউক্রেনে নিহত ভারতীয় পড়ুয়ার মরদেহ
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, লিভিভ শহরে এদিন সকাল থেকে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, লিভিভ এয়ারপোর্টের কাছে একটি জায়গায় রুশ মিসাইল আছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি ইউক্রেনীয় পার্টনারের সঙ্গে এ দেশে থেকে গিয়েছিলেন। এবার তাঁর মৃত্যু হল রুশ মিসাইল হানায়।