Advertisment

কানাডার মসনদে ট্রুডোই থাকছেন, তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে তাঁর দল

করোনা অতিমারি মোকাবিলায় তাঁর পারফরম্যান্স এবং জনপ্রিয়তা যাচাই করতেই আগেভাগে নির্বাচনের ডাক দেন ট্রুডো।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

অঘটনের সম্ভাবনা উড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকছেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ক্ষমতায় ফিরলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। যদিও সোমবার বহু জায়গায় ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। কিন্তু কানাডার সংবাদমাধ্যমের পূর্বাভাস, ক্ষমতায় ফের ট্রুডো।

Advertisment

গত মাসেই নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাও নির্ধারিত সময়ের দুবছর আগে। করোনা অতিমারি মোকাবিলায় তাঁর পারফরম্যান্স এবং জনপ্রিয়তা যাচাই করতেই আগেভাগে নির্বাচনের ডাক দেন ট্রুডো। ২০১৯ সালেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি তিনি। এবার ভেবেছিলেন, অতিমারি মোকাবিলায় তাঁর কাজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলবে তাঁকে।

কিন্তু ট্রুডোর সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয় ডেল্টা প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত। হাসপাতালগুলিতে ফের রোগীদের ভিড় এবং কোভিড বিধিনিষেধ জারি করার জন্য কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সরকার। যার ফলে ফলাফলের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস, ২০১৯ সালের ফলের প্রতিফলনই হতে চলেছে এবার। গত পাঁচ সপ্তাহের প্রচারের শেষদিকে করোনা অতিমারিই ছিল মূল ইস্যু। ট্রুডো যেখানে বাধ্যতামূলক টিকাকরণ এবং ভ্যাকসিন পাসপোর্টের জন্য ব্যাট করেন সেখানে, বিরোধী এরিন ওটুল (কনজারভেটিভ পার্টি) দুটোরই বিরোধিতা করেন।

আরও পড়ুন শিশুদেহে সুরক্ষিত এবং কার্যকরী ফাইজার টিকা! হিউম্যান ট্রায়াল রিপোর্টে দাবি

গত ২০১৫ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো। নীতি-নির্ধারণে সংস্কার এনে রাজনীতিতে নতুন হাওয়ার আমদানি করেন তিনি। তাঁর একাধিক উদারনীতি, সংস্কারি কাজকর্ম, দারিদ্র দূরীকরণ, জলবায় পরিবর্তন নিয়ে কঠোর মনোভাব, লিঙ্গসমানতা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ জনপ্রিয়তার শীর্ষে তোলে তাঁকে। তবে অতিমারিতে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে সেই জনপ্রিয়তায়। তার প্রতিফলন হিসাবেই কোনওরকমে সংখ্যালঘু সরকার গড়ে ক্ষমতায় থাকতে চলেছেন ট্রুডো।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Canada Justin Trudeau
Advertisment