বিদায়বেলাতেও জো বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা বজায় রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপিটল হিলে হামলার পর থেকে সপ্তাহখানেক মৌন ভাবমূর্তি রাখার পর মঙ্গলবার আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সাফল্যের জন্য দেশবাসীর কাছে প্রার্থনার আর্জি জানালেন। কিন্তু মুখে আনলেন না বাইডেনের নাম। একটি ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘‘এই সপ্তাহে আমরা নতুন প্রশাসনের সূচনা করব। আমেরিকাকে সুরক্ষিত এবং সমৃদ্ধ রাখতে তার সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করুন।’’
স্থানীয় সময় বুধবার আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তার আগেরদিন ভাবী প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ‘‘আমাদের শুভকামনা জানাই। ওঁদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হোক।’’ তিনি আরও বলেন, "আমি গত এক দশকের প্রথম প্রেসিডেন্ট যার কার্যকালে কোনও নতুন যুদ্ধ শুরু হয়নি।" সেইসঙ্গে যোগ করেছেন, "আমি সবচেয়ে সহজ পথ খুঁজিনি ... এখনও পর্যন্ত, বরং সবচেয়ে কঠিন বেছেছি। সবচেয়ে কম সমালোচনা হবে এমন পথ আমি সন্ধান করিনি। আমি কঠিন লড়াই, সবচেয়ে শক্ত লড়াই, সবচেয়ে কঠিন জিনিস বেছে নিয়েছি, কারণ এজন্যই আমাকে নির্বাচিত করেছেন সবাই। সবার প্রয়োজনগুলি ছিল আমার প্রথম এবং শেষ প্রাধান্য।"
আরও পড়ুন কাশ্মীর কন্যাকে অর্থনৈতিক কাউন্সিলের শীর্ষ পদের জন্য বাছলেন বাইডেন
এদিকে, বিদায়বেলাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলঙ্কিত নায়ক হয়ে রইলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি যিনি পর পর দু’বার ইমপিচড হলেন। ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বুধবার তাঁকে ইমপিচ করল মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এর প্রতিনিধিরা। এর আগে জো বাইডেনের উপর তদন্ত করার অভিযোগে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তির জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রথমবার ইমপিচড হয়েছিলেন। যদিও সেই সময় রিপাবলিকানের সদস্যরা ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। তবে এবার আর সেই সুযোগ হয়নি। বরং ক্যাপিটলের বাইরে ও ভিতরে জাতীয় সুরক্ষা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ২৩২-১৯৭ ভোটে পাশ হয়ে যায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন